কলারোয়ায় কুপিয়ে আহত হওয়ার ৯ দিন পর যুবকের মৃত্যু

হাঁস মুরগির বিরোধে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশির দায়ের কোপে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গুরুতর জখমের ৯ দিন পর শাহীন হোসেন (৪২) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সে মারা যায়। গত ৪ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে প্রতিবেশির দায়ের কোপে সে গুরুতর আহত হয়েছিলো।

নিহত যুবক দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের একব্বার গাজীর পুত্র। তিনি ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট খোর্দ্দ শাখার কমর্রত ছিলেন।

ঘাতক আমিনুর রহমান একই গ্রামের বজলুর রহমান সর্দারের পুত্র।

স্থানীয়রা জানান, গত ৪ এপ্রিল প্রয়াত শাহিনের চাচি জাহানারার সাথে ঘাতক আমিনুর রহমানের স্ত্রী মাহফুজার হাঁস মুরগির বিরোধে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাহফুজার স্বামী আমিনুর শাহানারাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। শাহীন দৌড়ে এসে তার চাচিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে শাহীনের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে ধারালো দা নিয়ে এসে শাহিনের মাথায় ও পায়ে কুপিয়ে আহত করে। সেসময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আমিনুর দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে শাহীনকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার অবস্থান অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল থেকে রিলিজ নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যায় শাহীন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মীয়ের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় গত ‌৪ তারিখের ঘাতক আমিনুর রহমান ও তার স্ত্রী মাহফুজাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের কর হয়। গুরুতর জখম হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয় শাহীন হোসেন। সেখান থেকে রিলিজ নিয়ে বাগেরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানেই শাহীনের মৃত্যু হয়েছে।