।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ জন জীবন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। গত কয়েকদিনের উপজেলার সব কটি লাইনে লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েই চলছে। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলায় দূর্বিষহ যন্ত্রনায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যূৎ সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যূতের এই বিপর্যয় বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডিজিএম কায়সার আলম।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাযায়, এই লোডশেডিংয়ের কারণে ওয়েল্ডিং, ঝালাই, বিদ্যুৎ চালিত মোটর, মেকানিক ও যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন সংশিষ্ট কাজ ঠিক মতো করতে পারছেনা।ঘনঘন লোডশেডিং আর তীব্র গরমে জনগন অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের অটোচালক ইয়াকুব, সোলায়মান জয়মনিরহাট ইউনিয়নের মুকুল ও শফিকুল বলেন, ‘দিনে-রাতে বিদ্যূৎ কতবার আসে যায় তার কোন হিসেব নেই। আমরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাই, কিন্তু লোড শেডিং থাকায় রাতে চার্জ দিতে পারিনা। এতে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে ইনকাম করতে না পারলে সংসারের খরচ চালাব কিভাবে। আবার সামনে ঈদ। পরিবারের খরচ মিটাবো কিভাবে?
উপজেলা সদরের কম্পিউটার ব্যবসায়ী রবিউল ও ফাুক মিয়া বলেন বলেন, বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছিনা। একবার গেলে বিদ্যূৎ আসার কথা মনে থাকেনা, আসলেও অল্প সময়ের মধ্যেই চলে যায়। এভাবে আসা যাওয়া করলে আমরা ব্যবসা করাই এখন দায় হয়ে পরেছে।
এছাড়াও হাসানুজ্জামান, বাপ্পী ও মন্জু বলেন, বিদ্যূৎ গেলে সহজে আসেনা অন্ধকারে কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে, মোবাইলে চার্জ দিতে সমস্যা হচ্ছে ও ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যূতের ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কাওছার আলম বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারন হচ্ছে গ্যাস স্বল্পতা ও বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি। এজন্যই মূলত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া আমার উপজেলায় বিদ্যূতের চাহিদা হচ্ছে ১৮ (আঠারো) মেগাওয়াট সেখানে আমরা পাচ্ছি সাড়ে ছয় মেগাওয়াট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন