কেড়ে নেয়া হয়েছে সু চি’র আরেক পদক

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র আরও একটি পদক কেড়ে নেয়া হয়েছে। এবার গ্লাসগো শহরের ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড কেড়ে নিয়েছে গ্লাসগো সিটি কাউন্সিল। পদকে কেড়ে নেয়ার আগে সু চিকে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে আহ্বান জানানো হয়েছিল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া দেননি সু চি।

রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও তাদেরকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে এক বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্লাসগো সিটি কাউন্সিল।

স্কটিশ কাউন্সিলটি জানায়, এ ধরনের সম্মান প্রত্যাহার করাটা ‘নজিরবিহীন’ এবং এই সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেয়ার উপায় নেই। এর আগে শেফিল্ড নগরীও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের সঙ্কট ও মিয়ানমারের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে সমালোচনা করে আসছে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়। সেই সমালোচনার মুখে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহর সু চি’কে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিল।

তখন সামরিক জান্তা সরকারের অধীনে গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন সু চি।

গ্লাসগোর লর্ড প্রভোস্ট ইভা বোলান্ডার বলেন, আমি এবং নেতা কাউন্সিলর সুসান এইটকেন সম্প্রতি আং সান সু চিকে তার নজরদারির মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংসতা নিয়ে নগরীর উদ্বেগের বিষয়টি অবগত করে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলাম। যে জবাব আমরা পেয়েছি তা হতাশাজনক এবং দুঃখজনক।

আর এর মধ্যেই, জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারকে ফিরিয়ে নিতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রহীন অবস্থায় এসব মানুষ থাকতে পারে না। এই রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, অতীতেও হয়েছেন।

এদিকে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে জাতিসংঘের প্রতি প্রস্তাব উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটির কাছে ওই খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।