ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আ. লীগ খুন-জখমে আরও বেশি বেপরোয়া: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের খুন-জখমে আরও বেশী বেপরোয়া ও নৃশংস হয়ে উঠেছে। তবে কোনো কর্তৃত্ববাদী নিপীড়ক সরকারই জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে বেশীদিন টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীও পারবে না।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে নৃশংস হামলায় মোহাম্মদ মুছা নামে ওমান প্রবাসী বিএনপি নেতার মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, রাউজানের স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলায় মোহাম্মদ মুছার মৃত্যু হয়েছে। এ নিষ্ঠুর ঘটনা আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্মমতার ইতিহাসে আরও একটি কলঙ্ক যোগ হলো। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। মুছাকে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যই হলো জনগণের ক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাস আর খুন-খারাবীর মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে বসে দেশে ভয়াবহ দু:শাসন জারি রাখা। মিথ্যা গলাবাজিই এদের শাসনের মূলমন্ত্র। মানুষের রক্তে হাত রাঙাতে এরা এতটাই নিষ্ঠুর যে, মানুষ হত্যা করে এরা উল্লসিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে কব্জায় নিয়ে ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় দাম্ভিক হয়ে উঠেছে। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হত্যা আর রক্তপাত ঘটালেও তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নেমে এসেছে প্রাণবিনাশী সর্বনাশা আক্রমণ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন