খাগড়াছড়িতে আ’লীগের পাল্টা মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের জামিন
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে আ’লীগের পাল্টা মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি গডফাদার ওয়াদুদ ভূইয়া’র এপিএস সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্ল’র জামিন পেয়েছে।
বিএনপির ভাইস—চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার জেরে জেলাতে আ’লীগের দায়ের করা পাল্টা মামলায় সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্লকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার(১২ই জুন) খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টে্রট জাহেদ আহমদ—এর আদালত সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্লকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।
বিএনপি’র পন্ঠী সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্ল’র পক্ষে আইনজীবি হলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বেদারুল ইসলাম ও সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু।
সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্ল বাংলাভিশনের খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি। একই সাথে তিনি খাগড়াছড়ি টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও পার্বত্য নিউজের খাগড়াছড়ি ব্যুরো প্রধান।
স¤প্রতি অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের নির্বাচনেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। জামিন লাভের পর সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্ল বলেন, প্রথম ধাপে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আশা করি চুড়ান্ত পর্যায়েও ন্যায় বিচার পাবো।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে মে খাগড়াছড়িতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে আওয়ামীলীগের অফিসের সামনে বিএনপির ভাইস—চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপিরসহ—সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজাসহ অন্তত: ৫জন আহত হয়। এ ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পরস্পরকে দায়ী করে।
এ ঘটনায় গত ২৮শে মে দুপুরে খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টে্রট সৈয়দ ওমর ফারুক সুজন—এর আদালতে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ—আইন বিষয়ক সম্পাদক রতন কুমার ত্রিপুরা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেনকে প্রধান করে ১’শ ৩জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত আড়াই শতাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন।
এছাড়াও মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রম্নু চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়।
তার একদিন পর ২৯শে মে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ—সভাপতি মেহেদী হাসান হেলাল বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এমএন আবছারসহ ১’শত ১০জনের নাম উল্লেখসহ আরো দেড় থেকে দুই শতাধিক অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়। আওয়ামীলীগের দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি’র পন্ঠী সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্লকে ১৭নম্বর আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন