খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মানিকছড়ি উপজেলা যোগ্যাছোলার নোনাবিলে হানাদার বাহিনীর সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল খালেক(৭৫)। বুধবার(২৯শে মার্চ) দুপুরে যোগ্যাছোলা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে পুলিশের একটি চৌকস দল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

বুধবার বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আনচারুল করিম উপস্থিত থেকে প্রয়াতের মরদেহে লাল-সবুজের পতাকা জড়িয়ে এবং পুলিশের সুসজ্জিত ব্যান্ডদল নিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সালাম ও ফুলেল শ্রদ্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনারে শেষ বিদায় জানিয়ে নামাজে জানাজা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল খালেকের নামাজে জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো: জয়নাল আবেদিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: শফিউল আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আলী হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল মতিনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও আত্মীয়-¯^জন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী তার জানাজায় অংশ নেয়। জানাজা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার(২৯শে মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫বছর।

তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও চার কন্যাসহ বহু আত্মীয়স্বজন রেখে যান। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আলী হোসেন বলেন, উপজেলার নোনাবিল এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর তৎকালিন কমান্ডার রণ বিক্রম ত্রিপুরার নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মো: আবদুল খালেক। তার মৃত্যুতে আমরা একজন সহযোদ্ধা ও রণাঙ্গণের সৈনিককে হারালাম।