খাগড়াছড়ি ও মহালছড়িতে এমএন লারমার ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দানানুষ্ঠান
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার উপজেলা সদর ও মহালছড়িতে এমএন লারমার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় লারমা স্কোয়ারে আবক্ষ মুর্তি পাদদেশের ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞ্লী মাধ্যমে কর্মসূচী মাধ্যমে র্যালি শোভা যাত্রা পদক্ষিন পর সূর্যশিক্ষা ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত স্মরন সভা আয়োজন করা হয়।
এদিকে মহালছড়িতে মুবাছড়িস্থ কার্যালয় সকালে সমর্থকগণের উপস্থিতিতে জুম্ম জাতির নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা(এমএন লারমা)র ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে দানানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এমএন লারমার অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পাহাড়ি জনগোষ্ঠির আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার আন্দোলনে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের স্মরনে ধর্মীয় আলোচনা সভা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, পঞ্চশীল গ্রহনসহ নানাবিধ দানীয় সামগ্রী দান করা হয়।
একযোগে ব্রিজপাড়া, মনাটেক, মিলনপুর, মুবাছড়ি, ধনপুদি, ক্যায়াংঘাটসহ কয়েকটি গ্রামে এ মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এসময় স্ব-স্ব গ্রামের স্থানীয় নারী পুরুষ সবাই এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন।
উল্লেখ্য যে, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ এবং বাংলাদেশের ১ম জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন হতে নির্বাচিত সদস্য। ষাটের দশকে তিনি জ্যোতিরিন্দ্র বৌধিপ্রিয় লারমা একত্রে শিক্ষা আন্দোলন করেছিলেন। তারই অংশ হিসেবে চাকমা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় সবাই পেশা হিসেবে শিক্ষাকতা বেছে নেন।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৩৯সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের মহাপুরম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাকনাম ছিল ছিল মঞ্জু। ১৯৮৩সালের ১০ই নভেম্বর দলীয় অন্তকোন্দলের কারণে একপক্ষের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। তিনি ১৯৭৩সালের ৭ই জানুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্বার আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনী নামে সংগঠন গঠন করেন। তখন থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
পরে জ্যোতিরিন্দ্র বৌধিপ্রিয় লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র কেন্দ্রীয় কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘ বছর শেখ হাসিনার সরকারের সাথে সংলাপের স্বার্থকতায় ২রা ডিসেম্বর ১৯৯৭সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন