গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মানববন্ধন
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নার্সের ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাজকের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের বিচার এং শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে স্থানীয় এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি রবিউল হোসেন পাতা’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি ফেরদাউছ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, কার্যকরী সদস্য, ফজলুল হক দুদু, আমিরুল ইসলাম ও রিপোর্টার ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম প্রমুখ। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অভিযুক্ত নার্স আমেনা বেগম ঝর্ণার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীসহ ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রদান করেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য:- গত ২৩ মার্চ সকালে স্বর্ণা বেগম প্রসব বেদনায় ছঁটফঁট করায় চিকিৎসার জন্য তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভ্যন্তর নেয়া হয়। ওইসময় কর্তব্যরত নার্স আমেনা বেগম ঝর্ণা প্রাথমিকভাবে প্রসূতিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি না করে ভাগিয়ে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে স্পেশাল চিকিৎসায় রাত ১২টা নাগাদ সন্তান প্রসব করানো সম্ভব হবে। অবশেষে ভোর ৬টার দিকে প্রসুতির গোপনাঙ্গ কেটে টেনে-হিঁচড়ে ফুঁটফুঁটে মৃত সন্তান বের করেন। কিছুক্ষণ পর নার্স জানায় সন্তানের পর এবার প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেকোন মুহুর্তে মৃত্যু হতে পারে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। পরে তাকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথেই প্রসুতির করুণ মৃত্যু ঘটে।
এদিকে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল্লাহেল মাফী ঘটনাস্থল পরির্দশনে এসে অভিযুক্ত নার্স ঝর্ণার বেতন ভাতাদি বন্ধসহ সাময়িকভাবে অব্যহতি প্রদান করার নির্দেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ওই অভিযুক্ত নার্সের কার্যক্রম তদন্তের জন্য ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন