গেইলের তোয়ালে খোলা কাণ্ডে কেঁদেছিলেন সেই নারী

ম্যাসাজের সময় ক্রিস গেইল হঠাৎ পরনের তোয়ালে খুলে ফেলায় কেঁদেছিলেন নারী থেরাপিস্ট লিনে রাসেল। ম্যাসাজ থেরাপি নেওয়ার সময় ব্যাটিং দৈত্য পরনের তোয়ালে খুলে নিজের গোপনাঙ্গ তাঁকে দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স গ্রুপের কয়েকটি পত্রিকা এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে মর্মে আদালতে মামলা করেছেন গেইল।

এর মধ্যেই সেই নারী থেরাপিস্ট বলে দিলেন, ২০১৫ বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ শেষে ঘটা এই ঘটনা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপমানজনক অভিজ্ঞতা হয়ে আছে।

গত জানুয়ারিতে এই ঘটনা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপায় ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়াগ্রুপের পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এজ ও ক্যানবেরা টাইমস। গেইল এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে সেই নারী থেরাপিস্ট আদালতে হাজিরা দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।

শুনানিতে রাসেল বলেছেন, ‘আমি ঘটনাটির পর বাচ্চাদের মতো কেঁদেছিলাম। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। খুব ভেঙে পড়েছিলাম।’ তাঁর জবানবন্দির দিনে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আরেক ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ডোয়াইন স্মিথ। তিনি জানিয়েছেন, গেইলকে নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

শুধু গেইল নন, রাসেল জানিয়েছেন স্মিথও তাঁকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে বিব্রত করেছেন। এটি স্বীকারও করেছেন স্মিথ। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, ‘রাসেল আমাকে এত চমৎকারভাবে ম্যাসাজ করে দিয়েছিল, আমি তাকে কেবল ‘সেক্সি’ শব্দটি লিখে এসএমএস করেছিলাম।’

রাসেল সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেন, ‘আমি এসব আচরণে সত্যিই ক্লান্ত। এখন এসব দেখলে অসুস্থ বোধ করি। প্রতিটি নারীই এ অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যাচ্ছে, কিন্তু কেউ এসব নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার সাহস দেখায় না। কিন্তু এটা ঠিক না। নারীদের উচিত এমন কিছু ঘটলেই সেগুলো সামনে নিয়ে আসা।’