চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে শুক্রবারের মধ্যে মেলা বন্ধ না হলে শনিবার থেকে আন্দোলন


হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বালুর মাঠে (গাজীর খাদা) মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত মেলা বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সমিতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় এই আলটিমেটাম দেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় বাজারস্থ বিভিন্ন মার্কেটের পক্ষে বক্তব্য শেষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আসফাকুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, শুক্রবারের মধ্যে মেলার সকল কার্যক্রম বন্ধ না হলে শনিবার মানববন্ধন ও রবিবার সড়ক অবরোধ করা হবে।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজনের উপস্থাপনায় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মহামারি করোনার প্রভাবে বাজারে প্রায় ৪ হাজার ব্যবসায়ী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠাতে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবং ধারদেনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এছাড়াও বছরের ১১টি মাস ব্যবসায়ীরা লসে-লাভে ব্যবসা করে থাকে। তারা ঈদকে সামনে রেখে ঋণ ও ধার-দেনা করে দোকানে মালামাল মজুদ করে। কিন্তু মেলার কারণে ব্যবসায়ীরা আবারও ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। টানা একমাস মেলা হয়েছে। এখন সময় শেষ, মেলার আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করা হবে। অথচ মেলা বন্ধ না করে মেয়াদ বৃদ্ধি কিংবা বস্ত্র প্রদশর্নী বা অন্য নামে মেলার চালিয়ে যাওয়ার পায় পাঁয়তার চলছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা দোকানের এ্যাডভান্স ও ভাড়া দিয়ে, ভ্যাট, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন লাইসেন্সসহ লাখ লাখ টাকা খরচ করে ব্যবসা করছি। অথচ বহিরাগতরা এসে ব্যবসা করে যাবে, তা হতে পারে না। এখানে ২/১ জন লোক ৩/৪ হাজার ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।
আমারদেরকে (ব্যবসায়ীদের) রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না উল্লেখ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা আরও বলেন, আমরা চাই এ মেলা দ্রুত বন্ধ করা হোক এবং ভবিষ্যতে হাজীগঞ্জ বাজারের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোন মেলা যেন না হয় এবং কর্তৃপক্ষ যেন তাদের অনুমতি না দেন।
এ সময় রয়েল রওশন মার্কেটের পক্ষে বক্তব্য দেন কাজী গোলাম সরোয়ার দিদার, ফুলেল সুপার মার্কেটের পক্ষে মজিবুর রহমান, হকার্স মার্কেটের পক্ষে খোরশেদ আলম, হাজীঞ্জ প্লাজার মার্কেটের পক্ষে জিয়াউল হক জিয়া, হাজীগঞ্জ টাওয়ার মার্কেটের পক্ষে জিসান আহমেদ, পৌর বিপনী বিতান মার্কেটের পক্ষে আব্দুল হাই, নূর আহমেদ প্লাজা মার্কেটের পক্ষে আশ্রাফ উদ্দিন, আহমেদ প্লাজা মার্কেটের পক্ষে জসিম উদ্দিন, বিজনেস পার্ক মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টার মার্কেটের পক্ষে মানিক সরকার প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন মার্কেটের অর্ধ-শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন