চুয়াডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সীমান্তে যেন মনুষ হত্যা থামছেই না। এদিকে বিজিবি—বিএসএফ প্রায় প্রায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্তে বিভিন্ন চোরাচালানসহ মানুষ হত্যা বন্ধে আলোচনা করা হলেও থেমে নেই বাংলাদেশী হত্যা। তারই অংশ হিসেবে বিএসএফের গুলিতে রবিরুল (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত রবিরুল দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মরহুম মইতুল্লার ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, বুধবার সন্ধ্যায় রবিরুলসহ ৩/৪ জন রাঙ্গিয়ারপোতা সীমান্তবর্তী ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রাম থেকে গরু আনতে যায়। রাত ১২টার পরপরই গরু নিয়ে ফেরার সময় ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৮/ ৯২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে আসলে বিএসএফের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। সেসময় সহযোগীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রবিরুল।

নিহত রবিরুলের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর মহাকুমা হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পীরপুরকুল্লা গ্রামের রবিরুল নামে এক ব্যক্তি নিখেঁাজ হওয়ার কথা আমরা শুনেছি।’

ভারতীয় একটি সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রবিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আনে বিএসএফ সদস্য আনন্দ সিং চৌহান।

চুয়াডাঙ্গা—৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, ঠাকুরপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আমরা বিএসএফ’র সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করেছি। তাদের কাছ থেকে জানার পর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়ে জীবননগরের বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন মিজানুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি।