জনসংযোগ বন্ধ করেননি গাজীপুরের দুই প্রার্থী
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট স্থগিত হয়ে গেলেও প্রার্থীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। বরং তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরেই জনতার মাঝে যেতে হচ্ছে।
যে ভোট হওয়ার কথা ছিল গত ১৫ মে, সেটি এখন পিছিয়ে গেছে ২৬ জুন। এখনও বাকি প্রায় দেড় মাস। এই ভোটকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক প্রচার আবার শুরু হবে ১৮ জুন। সেটাও এখনও এক মাসেরও বেশি সময়। এই সময় ‘জনবিচ্ছিন্ন’ থাকলে সাত দিনের প্রচারে কুলিয়ে উঠা যাবে না বলে ভোটের ময়দান ছেড়ে যেতে চাইছেন না প্রার্থীরা।
২৬ জুন ভোট হলেও প্রচার চলবে ২৪ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত। কাজেই ১৮ জুন যদি প্রচার শুরু হয়, তাহলে প্রার্থীরা সময় পাবেন আসলে এক সপ্তাহের মতো।
গত ৩১ মার্চ ঘোষণা করা তফসিল অনুযায়ী ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ হয় এবং সেদিন থেকেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচার। ৬ মে পর্যন্ত ভোটের মাঠে সক্রিয় থাকেন প্রার্থীরা। সেদিনই সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম শিমুলের এক আবেদনে ঝুলে যায় ভোট।
সুরুজের আবেদনে হাইকোর্ট ভোট স্থগিত করার চার দিন পর আপিল বিভাগ সে স্থগিতাদেশ তুলে দেয়। কিন্তু এই চার দিন যে প্রচারে বিঘ্ন ঘটেছে, সে কারণে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সময় দেয়া পক্ষে ছিল। আর রোজায় ভোট করতে চায় না তারা, তাই ঈদ শেষে স্থগিত হয়ে যাওয়া ভোটের আনুষ্ঠানিকতা আবার শুরু হচ্ছে।
১৬ বা ১৭ জুন হবে ঈদুল ফিতর। ফলে ঈদের একদিন বা দুই দিন পর থেকেই প্রার্থীদের আবার ছুটতে হবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
তবে এই রোজা অনেকটাই সুবিধা করে দেবে ভোটারদের কাছে যাওয়ার। রোজায় ইফতার পার্টির চল আছে রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে। একে ব্যবহার করে জনসংযোগের কৌশল নির্ধারণ করেছেন দুই প্রার্থীই।
এ ছাড়া প্রচার চলছে ঘরোয়া বৈঠক, দলীয় সভা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে। এসব বৈঠকে ২৬ জুন নিজ নিজ মার্কা নৌকা ও ধানের শীষে সমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্যও চালু রেখেছেন দুই প্রার্থী।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি অভিযোগ করে গাজীপুরেও একই রকম ভোট হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির হাসান।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর বলছেন, বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একেক কথা বলে। জনগণকে ‘মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত না করতে’ বিএনপির প্রার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ছয়দানা এলাকায় নিজ বাসভবনে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাহাঙ্গীর। এ সময় তিনি নিতাকর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে জনতার মধ্যে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন।
জাহাঙ্গীর আলম তখন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকব, আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।’
একই দিন নিজ বাড়িতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সভা ও মতবিনিময় করেন হাসান। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রতিটি কেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। আমাদের কর্মীরা জীবন দিয়ে হলেও ব্যালট পেপার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’
ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের এলাকায় এলাকায় গিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এবং তার পক্ষে জনমত গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাসানও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন