ঠাকুরগাঁওয়ে চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মানবেতর জীবন যাপন
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে একমাত্র ভারী শিল্প কারখানা চিনিকল। এ মিলের করপোরেশনের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের এককালীন গ্র্যাচুয়িটি বাবদ প্রাপ্য রয়েছে ২৭২ দশমিক ৫ কোটি টাকা। এ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। আসন্ন ঈদের আগে তাদের প্রাপ্য টাকা পরিশোধের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষন করেন তরা।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী শ্রমিকদের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেনের সাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন যাবত বকেয়া টাকা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না তারা। সন্তানদের ২ বেলা ঠিকমত আহার দিতে পারছেন না; সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালাতে পারছেন না। এ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে যোগাযোগ করা হলেও চিনি শিল্প সংস্থা কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। এর মধ্যে অনেক অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্র্যাচুইটির পাওনা বিল সংশোধন করে ২ দশমিক ৮৮ হারে প্রদান, পি,এফ এর কর্তনকৃত ১ দশমিক ৬৭ টাকা হারে বিল প্রদান এবং অর্জিত ছুটির বিল সংশোধন করে বর্ধিত হারে প্রদানের আহবান জানানো হয় স্মারকলিপিতে। আরও উল্লেখ করা হয় ২২ সালে আরও ৩৯০ জন শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যাবেন। এতে করে সব মিলে মোট ৩৪১ দশমিক ৬৯ কোটি টাকার পাওনা দাড়াবে। উপরোল্লিখিত বিষয়টি জাতীয মানবাধিকার কমিশনের গোচরীকৃত হয়ে কমিশনের সুয়োমোটো আদেশে অর্থ সচিব ও শিল্প সচিবকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হয় স্মারকলিপির মাধ্যমে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন