ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরীর অপরাধে উদ্যোক্তাসহ ২ জনের কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে অর্থের বিনিময়ে ভূয়া জন্ম সনদ তৈরীর অপরাধে সনদ তৈরিকারী উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী ব্যক্তিকে অর্থদন্ডসহ বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মানিক চন্দ্র রায় (৩০) ও জাল সনদ প্রদর্শনকারি জেল হক নামে ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তানজিলা তাসনিম এ দন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মানিক চন্দ্র রায় ভূল্লী থানার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি নামক এলাকার বুধারু বর্মনের ছেলে ও আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা। আর জেল হক একই উপজেলার সালন্দর সিংপাড়া (আলীর মোড়) এলাকার কাদের মিস্ত্রির ছেলে।
জাল সনদ তৈরীর অপরাধে মানিক চন্দ্রকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং জেল হককে জাল সনদ প্রদর্শনের অপরাধে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, সালন্দর সিংপাড়া এলাকার জেল হক সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশায় সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম সনদ জমা দেন। এদিকে তার জন্ম সনদটি জাল হিসেবে সনাক্ত করেন সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। বিষয়টি জানাজানি হলে জেল হক স্বীকার করেন তার এ ভূয়া সনদটি তিনি টাকার বিনিময়ে আউলিয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মানিক চন্দ্র রায়ের কাছে করে নিয়েছেন। পরে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ঠাকুরগাঁও সদর তানজিলা তাসনিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের স্বীকারোক্তিতে মানিক চন্দ্র রায়কে দুই হাজার টাকা জরিমানাসহ এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জেল হককে এক হাজার টাকা জরিমানাসহ সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এ বিষয়ে আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান (নজরুল) জানান, যে অপরাধের ঘটনাটি ঘটেছে এটা উদ্যোক্তা মানিক চন্দ্রের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। সে গোপনে এই কাজটি ঘটিয়েছে। আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভুয়া দাপ্তরিক কাজ করার কোন সুযোগ নেই। যে অপরাধ করবে তাকে তার কর্মের সাজা পেতে হবে। অপরাধীদের কোন ছাড় নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন