খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ সাবেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে এক পাহাড়ি শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে সাবেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জেলাতে মো; হারুন-অর-রশিদ(৪০) নামে সাবেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক পাহাড়ি শিক্ষিকাকে(৪৫) ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত (২৩শে ফেব্রুয়ারি) ২০২৩ ঘটলেও গতকাল মংগলবার(১৪ই মার্চ) ওই শিক্ষিকা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, ঘটনার দিন(২৩ ফেব্রুয়ারি) ওই শিক্ষিকা বাড়ি থেকে খাগড়াছড়ি সদরে সরকারি অফিসে কর্মরত তার স্বামীর কাছে এসেছিলেন। এ সময় তিনি তার পূর্ব-পরিচিত সাবেক শিক্ষক মো: হারুন-অর-রশিদ-এর অনুরোধে তার সাথে দেখা করতে খাগড়াছড়ি শহরের সেলিম মার্কেটে যান এবং তার সাথে বনফূল রেস্তোরায় নাস্তা করেন। নাস্তা খাওয়ার পর অসুস্থতাবোধ করায় তিনি তার স্বামীর বাসায় যেতে টমটম গাড়িতে(ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা) উঠেন। এ সময় তাকে এগিয়ে দেয়ার কথা বলে মো: হারুন-অর-রশিদও টমটমে উঠে পড়েন। টমটমে উঠার পর ওই শিক্ষিকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরলে শিক্ষিকা নিজেকে হারুন-অর-রশিদের বাসায় কিভাবে পৌছাল আর্চায্য হয়ে যান এবং তাকে(শিক্ষিকা) বিয়ের জন্য আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগে জানতে পারেন।

শিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ মতে, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত আনুমানিক ৮টার মধ্যে মো: হারুন-অর-রশিদ তাকে ধর্ষণ করেন ও ধর্ষণের সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে হারুন-অর-রশিদ ওই শিক্ষিকাকে তার স্বামীর বাসায় পৌঁছে দিয়ে যান এবং ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেন। এতে ভয়ে ও লজ্জায় শিক্ষিকা ঘটনাটি কাউকে জানাননি। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের কাছে শিক্ষিকা ঘটনাটি প্রকাশ করেন। এরপর পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় গতকাল(১৪ই মার্চ) শিক্ষিকা নিজেই বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

খাগড়াছড়ি সদও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আরিফুর রহমান ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভিকটিম নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্ত সাবেক শিক্ষকেরর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলার দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সঠিক তথ্য নিয়ে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।