তারা মরণকামড় দিয়ে বসতে পারে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমার কাছে মন হয় একটা শক্তি মরণকামড় দিতে চাইতে পারে। কারণ তাদের জন্য চূড়ান্ত পরাজয় ডেকে আনতে পারে। এ জন্য মরিয়া হয়ে তারা নির্বাচনে জিততে চাইবে।

কাদের আরও বলেন, শেষ চেষ্টা তারা মরণকামড় দিয়ে বসতে পারে। এসব অভিযোগ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাচ্ছি। সেখানে আমাদেরও প্রশাসনিক প্রস্তুতি রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

শুক্রবার বিকালে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী এলাকায় সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়কের কাজ পরিদর্শনকালে কাদের তিনি কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা ও নাশকতার যতটা শঙ্কা ছিল ততটা শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। যত অপচেষ্টাই করা হোক না কেন, নির্বাচন স্বস্তিদায়ক হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। মুখোশ পরে মোটরসাইকেল চালিয়ে চোরাগুপ্তা হামলা করছে। চোরাগুপ্তা হামলাটাই সমস্যা। তবে আমরা সচেতন আছি। আমাদের নেতাকর্মীদের সব প্রস্তুতি আছে। যত চক্রান্তই হোক নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা সফল হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সবদিক থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে তারা অবস্থান নিয়েছে। আশা করি- যত চক্রান্তই হোক, বাংলাদেশের জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন ও ভোট দিতে চায়। জনগণ যখন ভোট দেয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প, তখন কোনো শক্তিই এই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে- এটা আমার বিশ্বাস হয় না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে নৌকার গণজোয়ার দেখে পাকিস্তানি ভাবধারায় যারা রাজনীতি করে তারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। কেউ ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার নামে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করার চেষ্টা করলে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের পর নৌকার পক্ষে এমন গণজোয়ার আর দেখিনি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকার পক্ষে সারা দেশে ভোট বিপ্লব হবে। এই ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসবে।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মুন্না, সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নুর এ মাওলা রাজুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।