পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবিতে মানববন্ধন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৫৬ নং মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মঠবাড়িয়া পৌরসভা ভবনের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

গুলিশাখালী জিকে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও প্রবীন লেখক নূর হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন – ৭১ এর রণাঙ্গনের সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এবং ৫৬ নং মঠবাড়িয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী সানজিদা হোসেনের অভিভাবক মোঃ ফারুক হোসেন, ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের অভিভাবক সালমা খাতুন প্রমুখ।আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজট বিবেচনা করে স্বল সময়ের মধ্যেই মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মানববন্ধনের সভাপতি নূর হোসাইন মোল্লা।

মানববন্ধনে বক্তারা বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের অপসারণ ও বরখাস্তের দাবি জানান। বক্তারা বলেন – প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মহিলা অভিভাবকদের আপত্তিকর ছবি স্কিনশট দিয়ে তাদেরকে ব্লাকমেইল করেন।প্রবাসীদের স্ত্রীদের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন, সহকর্মীরা তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।লোক লজ্জার ভযে অনেকেই মুখ খুলতে চান না।১ম স্ত্রীকে বিধি বহির্ভুতভাবে তালাক না দিয়ে ইতোমধ্যে দু’টি বিবাহ করেছেন। ২য় স্ত্রী সালমা সুমি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।১ম স্ত্রীও মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।অনুমতি না নিয়ে একের পর এক বিবাহ করায় ১ম স্ত্রী ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম তার সহকর্মী এক শিক্ষিকাকে ৩য় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করেছেন।এভাবে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে একের পর এক বিবাহ ও তালাক নিয়ে একদিকে শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মিজ নিলুফার ইয়াসমিন জানান,খুব শীঘ্রই সরেজমিনে তদন্ত করা হবে।বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।