তিন সিটিতে ৩০৬ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে নির্বাচন কমিশন এগুলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘অতিগুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বরিশাল : বরিশালের ৩৭টি ভোট কেন্দ্র নিয়ে ভোটাররা বেশি টেনশন ও শঙ্কায় রয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১নং ওয়ার্ডে তিনটি কেন্দ্র, ৩নং ওয়ার্ডে পাঁচটি, ৫নং ওয়ার্ডে ছয়টি, ১০, ১১, ১২, ১৯ ও ২০নং ওয়ার্ডে দুটি করে এবং ২১নং ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্র। ২১নং ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ভোট কেন্দ্র নিয়ে ভোটাররা উদ্বিগ্ন। কারণ এই কেন্দ্রের পাশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নার বাসা। এ কেন্দ্রে তিনি প্রভাব ফেলার চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া ২৩ ও ২৬নং ওয়ার্ডে চারটি করে এবং ৩০নং ওয়ার্ডে তিনটি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। ১নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া পৌর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রাখা হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের দলিল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ১০নং ওয়ার্ডের বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এলাকার ভোটাররা। এ এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। একই অবস্থা ১১নং ওয়ার্ডের ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালিকা বিদ্যালয় ও ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মজিবর রহমান ও মারুফ আহম্মেদ জিয়ার সমর্থকরা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন। এখানে হামলা ও পাল্টা হামলায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
১৯নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ২০নং ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে সবাই আওয়ামী লীগ নেতা। এ ওয়ার্ডের বিএম কলেজ ভোট কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ২৩নং ওয়ার্ডে চারটি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্র্ণ। এই ওয়ার্ডের সাগরদি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। কারণ, এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারের প্রভাব দেখানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২৬নং ওয়ার্ডের সব কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। নগরীর প্রবেশদ্বার অর্থাৎ ৩০নং ওয়ার্ডকে সব থেকে বেশি ঝামেলার বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এই এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কালাম মোল্লার বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলার অভিযোগ করেছেন বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী। এসব বিষয়ে বরিশাল সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার হেলাল উদ্দিন খান যুগান্তরকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
রাজশাহী : রাজশাহীর ৩০ ওয়ার্ডের ১১৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। বোয়ালিয়া মডেল থানার ৫৭টি এবং কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায় ১৫ ভোট কেন্দ্রের সবকটি ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া রাজপাড়া থানায় ১২টি, মতিহার থানা ও চন্দ্রিমা থানায় ১৪টি করে এবং শাহমখদুম থানায় ছয়টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত দুইজন করে ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে বলে পুলিশ কমিশনারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় পুরো নগরীকে ছয়টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছে। আবার তিনটি সেক্টরকে আরও দুটি উপসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা। উপ-সেক্টরগুলোর দায়িত্বে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তা তাদের আওতাধীন ভোট কেন্দ্রের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকছে।
সিলেট : সিলেটে ৮০টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোতোয়ালি থানা এলাকার ৪০ ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় দুটি ওয়ার্ডের ছয়টি, জালালাবাদ থানা এলাকার একটি ওয়ার্ডের চারটি, এয়ারপোর্ট থানা এলাকার চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি, মোগলাবাজার থানা এলাকার একটি ওয়ার্ডের পাঁচ কেন্দ্র এবং শাহপরান থানা এলাকার চারটি ওয়ার্ডের ১৪টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন