দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
হাসপাতালে দর্শনার্থীর প্রবেশ সীমিত করার লক্ষ্যে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘পাস কার্ড’ চালু করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা.মো.এনামুল হক এই পাস কার্ডের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
হাসপাতালে অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশের মাধ্যমে যেন হাসপাতাল থেকে রোগ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) ইউএইচএফপিও ডা.মো.এনামুল হক মেডিভয়েসকে বলেন, উপজেলা পর্যায় হাসপাতালগুলোতে দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক আগ থেকেই স্বস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা ছিলো। সেটাই আমরা এখন রোগীর স্বার্থে বাস্তাবায়ন করার চেষ্টা করছি।
এর ফলে এখন থেকে প্রত্যেক ভর্তি রোগীর সাথে একজন পরিচর্যাকারী থাকতে পারবেন এবং তিনি ফেরতযোগ্য ১০০ টাকা দিয়ে একটি পরিচর্যাকারী প্রবেশ পত্র (পাস কার্ড) পাবেন। হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় কার্ড ফেরত দিয়ে তিনি ১০০ টাকা ফেরত নিবেন। অন্যান্য পরিদর্শনকারীরা শুধুমাত্র পরিদর্শনের জন্য নির্ধারিত সময়ে পরিদর্শন খাতায় নির্ধারিত তথ্য দিয়ে ভর্তি রোগী সাথে দেখা করতে পারবেন।
ইউএইচএফপিও ডা.মো.এনামুল হক বলেন, ‘একজন রোগীর সাথে একজন এটেন্ডেন্ট থাকতে পারেন। কিন্তু দেখা যায়, একজন রোগীর সাথে ৫/৬ জন থাকেন। এতে হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন হয়ে যায়। তাই অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক রোগীর সাথে একজন দর্শনার্থী বা রোগীর পরিচর্যাকারী থাকতে পারবেন। তিনি ১০০ টাকা দিয়ে পাস কার্ড নিবেন এবং রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় পাস কার্ড ফেরত দিয়ে ১০০ টাকা ফেরত নিবেন। এ ছাড়া যদি রোগীর সাথে স্বজনরা দেখা করতে আসে, তারা পরিদর্শনের সময় প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে ১টা ও বিকাল ৪ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রোগীর সাথে থাকা এটেন্ডেন্টের মাধ্যমে দেখা করতে পারবেন। এই সময়ের বাইরে কেউ আসলে তাকে হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে অপেক্ষা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় হলেই দেখা করতে পারবে। পরিদর্শনের সময়ের বাইরে কাউকে এলাউ করা হবে না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন