দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও নাটকীয় জয়ে ফ্রান্স ফাইনালে
প্রথম সেমিফাইনালে ইতালির ৩৭ ম্যাচের অপরাজিত যাত্রা থামিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছিলো স্পেন। আর দ্বিতীয়টিতে বেলজিয়ামকে হতাশায় ডুবিয়ে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত এক নজির স্থাপন করলো ফ্রান্স। পাশাপাশি দ্বিতীয় দল হিসেবে পৌঁছে গেলো ফাইনালে।
বৃহস্পতিবার রাতে উয়েফা নেশনস লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নেমেছিলো বেলজিয়াম ও ফ্রান্স। ম্যাচের প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ইতালির জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে সমানে সমান লড়েছে দুই দল। বল দখলের লড়াইয়ে প্রায় কাছাকাছিই ছিলো বেলজিয়াম ও ফ্রান্স। এমনকি পুরো ম্যাচে গোলের লক্ষ্য বরাবর সমান ছয়টি করেই শট নিয়েছে দুই দল। কিন্তু অধিক সাফল্য পেয়েছে ফ্রান্সই।
এই ম্যাচটিতে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন ফ্রান্সের দুই ভাই লুকা ও থিও হার্নান্দেজ। ১৯৬৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের জার্সিতে দেখা মিলেছে দুই ভাইয়ের। আর ম্যাচের একদম শেষদিকে জয়সূচক গোল করে এ কীর্তিটি আরও স্মরণীয় করে রেখেছেন থিও হার্নান্দেজ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য ছিলো বেলজিয়ামের জয়জয়কার। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দলটি। প্রথমে ৩৭ মিনিটের সময় কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে বাজিমাত করেন ইয়ানিক কারাসকো। তিন মিনিট পর ডি ব্রুইনের আরেকটি পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোমেলু লুকাকু।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের সময় সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। তবে চার মিনিট পর হতাশ করেননি করিম বেনজেমা। কাইলিয়ান এমবাপের পাস ধরে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ফ্রান্সের প্রথম গোল করেন বেনজেমা।
এর সাত মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান এমবাপে। ডি-বক্সের মধ্যে গ্রিজম্যানকে ফাউল করা হলে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান মাঠের রেফারি। স্পট কিক থেকে জোরালো শটে জাল কাঁপান এমবাপে।
এরপর ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গিয়ে তৃতীয় গোল করে বেলজিয়ামকে হতাশায় ডোবায় ফ্রান্স। ডি-বক্সের মধ্যে ঠিকঠাক বল ক্লিয়ার করতে পারেনি বেলজিয়ামের ডিফেন্ডাররা, পেয়ে যান থিও হার্নান্দেজ। তার জোরালো শটে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় ফ্রান্সের।
রোববার বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে নেশনস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও ফ্রান্স।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন