স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশে অনেক ঔষধ তৈরি হয় কিন্তু মেডিকেল ডিভাইস দেশে তৈরি হয় না। হার্টের অপারেশন করতে বা রিং বসাতে স্টেন্টিং দরকার হয়। প্লাস্টিক সার্জারির ক্ষেত্রে টিস্যু দরকার হয়। যা দেশের বাইরে থেকে আনলে অনেক দাম পড়ে। দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে। একটা রিং পরানো বা ভালভ্‌ রিপ্লেসমেন্টে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। দেশে মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি ঔষধের দাম কমানো জন্য বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডায়াবেটিস ও হার্টের ঔষধের দাম কমালে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) ঢাকায় পূর্বাচলে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে জিপিই এক্সপো (প্রা.) লি. এবং বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির আয়োজনে ‘১৫তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপো ২০২৪’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে সাধারণ মানুষকে সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুন্দর ও সহজলভ্য হলে সাধারণ মানুষের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরে আসবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঔষধ বিশ্বব্যাপী গুণগতমান ও নিরাপত্তার দিক দিয়ে পরিচিতি লাভ করেছে। ঔষধ শিল্পের বিকাশে সরকার ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিকে থার্স্ট সেক্টর ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ঔষধকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ দেশে উৎপাদিত ঔষধ নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে বিশ্বে ১৫৭ টি দেশে রপ্তানি করছে।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রেসিডেন্ট আব্দুল মুক্তাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম হাসান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।

আলোচনা পর্বশেষে মন্ত্রী ফিতা কেটে ‘১৫তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপো ২০২৪’-এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। ‘এন ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন অন কমপ্লিট ফার্ম ম্যানুফাকচারিং’ শিরোনামে ‘১৫তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’তে ৩৬ টি দেশের ৭৫১ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন ও সেবার মান তুলে ধরছে। এক্সপো চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত। এ এক্সিবিশিনে দেশ ও বিদেশের স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করছেন।