নোয়াখালীতে জনগণের অনুরোধে উপজেলা নির্বাচনে জাহাঙ্গীর কবির

জনগণের অনুরোধে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নিজের প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন চাটখিল উপজেলার পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণত জনগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই প্রার্থীতার ঘোষণা দেন।

চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির ২০২২ এবং ২০২৩ সালে টানা দুই বছর নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি সম্পন্ন করা জাহাঙ্গীর কবির ১৯৬৭ সালের নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মলংমুড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের নামকরা শিল্প প্রতিষ্ঠান একটিভ গ্রুপের কর্ণধার ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন একটিভ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ২০১৪ সাল থেকে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ২০১৩ সাল থেকে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মোহাম্মদপুর (পূর্ব) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন শেষে এবছর নির্বাচন করবো না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু মোহাম্মদপুর আমার নিজ এলাকা। এই এলাকার জনগণের অনুরোধেই আমাকে উপজেলা নির্বাচনে নামতে হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সরকারের বরাদ্দের চারগুণ পরিমাণ টাকা এলাকার জন্য খরচ করেছি। জনপ্রতিনিধি থাকায় আরো বৃহৎ পরিসরে জনসেবা করতে পারছি। আল্লাহ আমাকে ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ দিয়েছেন এবং এলাকার মানুষের কল্যাণে সে অর্থ খরচ করার তাওফিক দিয়েছেন। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। এলাকার জনগণ আমাকে নির্বাচনে বিপুল সমর্থন দিয়ে নির্বাচন করেন, সেজন্য আমি জনগণের কাছেও কৃতজ্ঞ।’ এসম তিনি নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম এমপিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানান।

মতবিনিময় সভায় চাটখিল উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল।