দ্বিতীয় টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

ক্যান্ডিনে সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট জিততে বাংলাদেশকে ৪৩৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে শ্রীলংকা। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ৪১৮। এই ম্যাচ তথা সিরিজ জিততে চাইলে ইতিহাস গড়তে হবে টাইগারদের। তবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করেছে মুমিনুল হকের দল। চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৭ রান।

হারের শঙ্কা নিয়ে শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ দল। নেমে ৬ যোগ করতে বিদায় নিলেন লিটন দাস। দলের দুই শ রানের মাইলফলক পেরুতেই সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নিলেন তাইজুল ইসলাম। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। ফলে ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলার হাতে।

এরপর রমেশ মেন্ডিস বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ। শেষ ভরসা মিরাজ কিছুটা প্রতিরোধ কররা চেস্টা করেও ৩৯ রানে বিদায় নেন। শেষ ব্যাটসম্যান আবু জায়েদ বিদায়ের পর বাংলাদেশের পরজয়ের ঘটে। ২০৯ রানে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান করার পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে ঘোষণা করেছে স্বাগতিক শ্রীলংকা। তাই জয়ের জন্য ২৫১ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়া বাংলাদেশের প্রয়োজন সবমিলিয়ে ৪৩৮ রান। সময় পাচ্ছে প্রায় পাঁচটি সেশন ও দেড়শ ওভারের কিছু বেশি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩১ ও ব্যক্তিগত ২৪ রানে রমেশ মেন্ডিসের বলে আউট হন তিনি। এরপর সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে কেউই বড় স্কোর করতে পারেননি। সাজঘরে ফেরার আগে সাইফ ৩৪ ও শান্ত ২৬ রান করেন।

দলের সেরা দুই টেস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি। ম্যাচ বাঁচাতে যেখানে অন্তত একজনের বড় ইনিংস খেলা প্রয়োজন ছিল সেখানে দুজনই নিদারুণ ব্যর্থ। মুমিনুল ৩২ রানে বোল্ড হওয়ার পর নিরীহ এক ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন ৪০ রান করা মুশফিক।

দিনের বাকিটা সময় আর কোনো উইকেটের পতন ঘটতে দেননি লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ১৪ ও ৪ রানে। শেষ দিনে এই দুজনের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে সারা দেশ।

উল্লেখ্য, চতুর্থ ইনিংসে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৪১৩ রান। ঢাকায় ২০০৮ সালে এত রান করেও হেরেছিল সাকিব-মুশফিকরা। শ্রীলংকার বিপক্ষে যেকোনো ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ৩৭৭ রান তাড়া করে জিতেছে পাকিস্তান।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহীম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েধ চৌধুরী রাহী ও শরিফুল ইসলাম।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুণারত্নে (অধিনায়ক), লাহিরু থিরামান্নে, ওশাদা ফার্নান্দো, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিসাঙ্কা, নিরোশান ডিকভেলা (উইকেটরক্ষক), রমেশ মেন্ডিস, প্রবীণ জয়বিক্রম, সুরাঙ্গা লাকমল ও বিশ্ব ফার্নান্দো।