নরসিংদী ভূমি অফিসে আগের মত হয়রানির শিকার হতে হয় না : ডিসি
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারফ খান বলেছেন, সরকার দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নানানমূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এনেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। সেবাপ্রার্থীরা সেবা নিতে গিয়ে যেন হয়রানীর শিকার না হন সে লক্ষ্যে সহজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ের ভুমি অফিসে। তেমনই সেবামুখী ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা নির্মাণের লক্ষে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে অগ্রযাত্রায় রয়েছে পলাশ উপজেলা ভূমি অফিস। সেবাপ্রার্থীদের আগের মত আর হয়রানির শিকার হতে হয় না উপজেলার এই ভূমি অফিসে গিয়ে। জণগণের দোড়গোড়ায় ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলছে এই অফিস।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারফ খান পলাশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সংস্কার ও আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধনসহ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারফ খান আরও বলেন, মানুষের জীবন ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। এমনকি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও নির্ভর করে ভূমির উপযুক্ত ব্যবহারের ওপর। ভূমি মানুষের জন্মগত অধিকার হলেও ভূমির ওপর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থাপনা কখনোই স্বচ্ছ ছিল না। অন্যদিকে ভূমির ব্যবস্থাপনা সুদীর্ঘকাল ধরে এতদাঞ্চলের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের মূখ্যভিত্তি হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং এর ইতিহাসও বেশ প্রাচীন।
তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনার ইতিহাস মূলত আদিযুগ, হিন্দু আমল, মুসলিম আমল, ব্রিটিশ আমল এবং বর্তমান আমল (পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমল) পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূমি ব্যবস্থাপনা মূলত ভূমির ক্রয়-বিক্রয়, সঠিক জরিপ, জমা-খারিজ-নামজারি, খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, খাস, পরিত্যক্ত জমি লিজ প্রদান, জলমহাল হাট-বাজারের ইজারা প্রদান, উত্তরাধিকার সূত্রে জমি হস্তান্তর, খায়-খালাসি বন্ধক, জমির বিপরীতে ঋণ গ্রহণ ইত্যাদি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলভিয়া স্নিগ্ধাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন