নাফিসা কামালের বক্তব্যের জবাব দিলেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী

নাফিসা কামালের বক্তব্যর জবাব দিলেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফ্রাঞ্চাইজির মালিক নাফিসা কামাল বলেছেন, গভর্নিং কাউন্সিলের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করা না হলে আগামী আসর থেকে কুমিল্লার পক্ষে বিপিএলে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’কে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি নাফিসা বলেন, ‘টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস এবং মিডিয়া রাইটস – এ তিন রাজস্বের একটি অংশ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চায়।’

বিপিএল আয়োজকদের কাছে শর্ত জুড়ে দিয়ে নাফিসা কামাল আরও বলেন, ‘যদি তাদের রাজস্বের সর্বনিম্ন একটি অংশও গভর্নিং কমিটি দেয়, তাহলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএল খেলতে রাজি আছে।’ এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা (বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল) আমাদের সর্বনিম্ন একটি পরিমাণও রাজস্ব দেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’

আজ (বুধবার) বিকেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক নাফিসা কামালের বক্তব্য খন্ডন করেছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিপিএলের বাজার ছোট এবং বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সে সীমাবদ্ধতা নিয়ে লভ্যাংশ বন্টন করে বিপিএল আয়োজন করাই কঠিন হয়ে পড়বে।

নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্যও। যে সমস্ত লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লিগগুলোতে কিন্তু ফ্যাঞ্চাইজি ফি বলেন বা অন্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে। তারা যে মডেলে করছে, আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না। আর সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্যাঞ্চাইজি ফি’সহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সেক্ষেত্রে এটা তুলনা যোগ্য নয়। আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই আছে। এখনও পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল সেটা আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি না বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে।’

বিসিবি সিইওর দাবি, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তাদের সাথে বসতে আগ্রহী হয়, তাহলে তারা (বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল) তাদের বোঝাতে সক্ষম হবে।

নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের শেষ কথা, ‘আমার মনে হয়, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা কি মডেল করছি আর অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো কি মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে।’