ঘনকুয়াশা আর শীতে থমকে আছে মাদারীপুর; জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে

মাদারীপুর কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতে সাথে আছে হালকা বৃষ্টি থমকে আছে মাদারীপুরের জনপদ। শীতল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম।

দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা, আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্তও সূর্যের দেখা মেলেনা
বরং কুয়াশা আর শীত বাড়ছে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া লোকজন।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই।
এদিকে সকাল ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়ায় জেলার সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।

এছাড়া বাইরে সাধারণ মানুষের পদচারণা কম থাকায় সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন কম রয়েছে।

তীব্র শীতে গত এক সপ্তাহে জেলাজুড়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু ও বয়স্করা ঠাণ্ডাজণিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে অনেক রোগী। যার অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত। এছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে অনেকেই । এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।

দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে জেলায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। জেলার চরাঞ্চলের মানুষ আরো বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের তীব্রতায় সন্ধ্যার পরে ও বেলা ১১ টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন বাজার শূন্য হয়ে যায়। এতে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তি। এদিকে বিভিন্ন স্থানের ফুটপাতের দোকান থেকে পুরানো শীতবস্ত্র কিনতে দেখা যাচ্ছে। আর্থিক সংগতি না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা পুরাতন শীতবস্ত্রের দিকে ঝুঁকছেন বলে দেখা গেছে।

জেলা মাদারীপুর সদর নতুন শহর এলাকার চা-দোকানি মো: চুন্নু ফকির বলেন, ঠাণ্ডার কারণে সন্ধ্যার রাস্তা খালি হয়ে যাচ্ছে। লোকজন সন্ধ্যার পরে আর থাকে না। দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হয়। বিক্রি কমে গেছে গত কয়েকদিন ধরে।

হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক জানান, কুয়াশার কারণে সকালে যানবাহন চলাচলে ধীর গতি থাকে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়। শীতের কারণে সংযোগ সড়কে ছোট গাড়ির চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

টানা কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনা। এর মধ্যে তাপমাত্রা খুবই কম। শীতে জনজীবন থমকে যাচ্ছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ!