নারীর প্রতি সহিংসতা-নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা : মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ম‌হিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফ‌জিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা-নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা। বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। এটা কোনো দেশের একক সমস্যা না। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। পুরুষতান্ত্রিক মন-মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে। নারীর প্রতি এ সহিংসতা রোধে নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইনগুলোকে সংস্কার করতে হবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ইউএন উইমেন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক নারী সংগঠন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এ লক্ষ্যে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বিচার ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নারীদের নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে।

নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৯-২০২২ বিষয়ক জাতীয় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পল আরো উপস্থিত ছিলেন রিসার্স ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, জেন্ডার স্পেশালিস্ট শীপা হাফিজা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক ইসলাম শাতিল এবং ইউএনওমেন ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ দিয়া নন্দা।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা ব‌লে‌ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করেন। বিএনপি সরকার ২০০১ সালে সেই নারী নীতি বাতিল করে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১১ সালে পুনরায় জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করে।