নির্বাচিত হলে এলাকার অসমাপ্ত কাজ করতে চান সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী
আগামী ৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে মাদারীপুর ৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় নেতাসহ মোট ৮ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছেন ২ জন। এরা হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম।
এছাড়া অন্য ৬ জন হলেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী প্রবীন হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী নকুল কুমার বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক ও জাকের পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন খোকন মুন্সী।
এদের মধ্যে ডাসার উপজেলার ধূয়াসার গ্রামের হিরেন্দ্রনাত চক্রবর্তীর ছেলে নিতাই চক্রবর্তী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নিতাই চক্রবর্তী জাতীয় পরিবহন শ্রমিক লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সভাপতি। তিনি নিরব ভূমিকায় কোন মিছিল মিটিং, শোডাউন ছাড়াই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে নিজেই নিজের প্রচার চালাচ্ছেন এবং জনসংযোগ ও পথসভা করছেন। এতে জনগণ তাকে আশ্বস্ত করছেন।
নির্বাচনে কেন আসলেন? এবং জনগণ আপনাকে কেন নির্বাচিত করবে? এ বিষয়ে নিতাই চক্রবর্তীর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ তাকে ভালোবাসে, তিনি এক সময় উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সঠিক সময় ফলাফল না পেয়ে ক্ষুদ্ধ ছিলেন। তিনি প্রতিদিন নিজের মোটর সাইকেল চালিয়ে ভোটারদের সাথে কথা বলে আস্থা অর্জন করেছেন। এতে জনগণ তথা ভোটাররা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনের পরে ঢাকা চলে যান, ভোটারদের বিপদ আপদে কাছে পান না, তাই তাকে নির্বাচিত করতে চায় ভোটাররা। এদিকে নির্বাচনী হলফনামার মাধ্যমে জানা যায় তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী। এখানে উল্লেখ আছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এ, এল এল.বি। পেশা রড, সিমেন্টের ট্রেডিং ব্যবসা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। নগদ টাকা ২ লাখ এবং ব্যাংকে জমা ১ লাখ।
প্রসঙ্গত, কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১4টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮শ ৫৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮শ ৯৩ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৯শ ৬০ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, ‘মাদারীপুরের তিনটি আসনে ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাকী ১৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ আছে। তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
মাদারীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, ‘যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন