নেইমারদের হতাশ করে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন
ঝলক দেখাতে পারেননি বিশ্বের সেরা তরুণ প্রতিভা কিলিয়ান এমবাপ্পে। পায়ের ছন্দ মেলেনি সবচেয়ে দামী ফুটবলার নেইমারের। পিএসজির সেমিফাইনালের নায়ক ডি মারিয়া অভিজ্ঞতা ফলাতে পারেননি। তবে তাদের সবাই মিস করেছেন গোল।
লিসবনে রোববার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ প্যারিসের দলটিকে মাঝমাঠে বোতলবন্দী করে ফেলে। সুযোগ বুঝে ১-০ গোলে পিএসজিকে হারিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন বায়ার্নের ফ্রান্স উইঙ্গার কিংসে কোম্যান। তার ৫৯ মিনিটের গোলে ষষ্ঠ ইউরোপ সেরার শিরোপা জিতেছে বাভারিয়ানরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল শূন্য শেষ করে দু’দল। মাঝমাঠে বায়ার্ন মিউনিখ কর্তৃত্ব করলেও গোল মুখে তারা পৌঁছাতে পারছিল না। আটকে যাচ্ছিল পিএসজির রক্ষণে। সেই সুযোগে পাল্টা আক্রমণের ছকে খেলা পিএসজি প্রথমার্ধে দারুণ তিনটি সুযোগ পায়। কিন্তু মিউনিখের দেয়াল খ্যাত ম্যানুয়েল ন্যয়ারে আটকে যায় সবকটি সুযোগ।
প্রথমে নেইমারের নেওয়া দারুণ শট ফেরান ন্যয়ার। এরপর হতাশ করেন এমবাপ্পেকে। প্রথমার্ধে আরও একটি অসাধারণ সুযোগ হাতছাড়া করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গোলরক্ষককে সরাসরি পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধে রবার্ট লেভানডস্কিও দারুণ একটি শট নেন। কিন্তু গোলবারে লেগে ফিরে আসে তার শট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের হাই প্রেস ফুটবলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
দুই দলের আক্রমণ ছিল অসাধারণ। বেশি গোলের ম্যাচ হওয়ার আভাস ছিল। কিন্তু ছোট জয়েই ২০১৩ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলো বাভারিয়ানরা। বায়ার্নের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো জিতলো ট্রেবল। এছাড়া লিভারপুলের সমান ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুললো জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়নরা। তাদের ওপরে আছে কেবল এসি মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া ফাইনালে জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের সমান টানা ১১ ম্যাচে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন। কোম্যানের ওই একমাত্র গোলে বার্সা-রিয়ালের পরে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় পাঁচশ’ গোলও পূর্ণ করেছে তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন