নেইমার ছাড়া ব্রাজিলকে রুখে দিল ইকুয়েডর
টানা ১০টি ম্যাচ, অবশেষে ১১তম ম্যাচে এসে জয়ের কোনো দেখা পেল না ব্রাজিল। কোপা আমেরিকার গ্রুপ ‘বি’ থেকে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছিল ব্রাজিল। যে কারণে কোচ তিতে শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। নেইমারকে মাঠেই নামাননি তিনি।
এর ফলও পেতে হয়েছে ব্রাজিলকে। টানা ১০ ম্যাচ জেতার পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি সেলেসাওরা। ইকুয়েডর তাদেরকে রুখে দিয়েছে ১-১ গোলে ড্র করে। তবুও, গ্রুপ ‘বি’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।
আর ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডরও। গ্রুপ ‘বি’ থেকে বিদায় নিয়েছে ভেনেজুয়েলা। এই গ্রুপ থেকে কোয়ার্টারে উঠেছে পেরু এবং কলম্বিয়াও।
৩৭ মিনিটে এডার মিলিটাও-এর হেড থেকে দুর্দান্ত একটি গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কিন্তু ডিফেন্সে থিয়াগো সিলভা না থাকার কুফলটা টের পায় স্বাগতিকরা। ৫৯ মিনিটে অ্যাঞ্জেল মিনার দারুণ এক শটে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা।
এস্টাডিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকায় গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল এবং ইকুয়েডর। ম্যাচের আগে থেকেই ইকুয়েডরের সামনে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণেই হয়তো ইকুয়েডর ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম থেকেই নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়েছিল। তাতেই সফল হল তারা, থামিয়ে দিল ব্রাজিলের বিজয়রথ।
ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা ব্রাজিল গোলের উদ্দেশে শট নেয় মোট ৬টি। ৩টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ইকুয়েডরের ৮ শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে। নেইমার-ক্যাসেমিরো এবং ডেভিড সিলভাকে ছাড়া খেলতে নামে ব্রাজিল। যে কারণে তাদের সঙ্গে ইকুয়েডরের লড়াই ছিল সমান সমান।
প্রথম ২৫ মিনিটেই ইকুয়েডর গোলের জন্য নেয় চারটি শট। তবে সেভাবে অ্যালিসন বেকারকে টলাতে পারেনি তারা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে বল দখলের চেষ্টায় লাফিয়ে মিডফিল্ডার ডগলাস লুইসের হেডে মাথায় আঘাত পান মোইসেস কেইসেদো।
এর কিছুক্ষণ পর মাঠ ছাড়েন ইকুয়েডরের এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন মিলিটাও। এভারটনের ফ্রি কিকে সবার চেয়ে উঁচুতে লাফিয়ে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রাজিলকে চেপে ধরে ইকুয়েডর। ফল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৫০তম মিনিটে অ্যাঞ্জেলো প্রেসিয়াদোর শট ব্রাজিলের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে ডি-বক্স থেকে ভ্যালেন্সিয়ার শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
ম্যাচের ৫২তম মিনিটে সমতা ফেরে ইকুয়েডর। কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে ভ্যালেন্সিয়া খুঁজে নেন অ্যাঞ্জেল মিনাকে। ম্যাচের শেষ দিকেও দুই দলের সামনে এসেছিল বেশ কিছু সুযোগ কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন