নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ভাগিনা কর্তৃক মামী’কে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
স্বামীর আপন বোনের ছেলে(ভাগিনা) কর্তৃক বিধবা নারী মামী’কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের নাগেরগাতি গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ ঐ গ্রামের মারফত আলীর মৃত্যু বিগত চার বছর আগে হয়েছে। এর পর তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন(৫০)দুই কন্যাসহ নিজ বাড়ীতেই বসবাস করছিলো। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে দুই কন্যাকেই বিবাহ দিতে পেরেছেন তিনি। তারা উভয়েই স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড়করছে। এ অবস্থায় আছিয়া খাতুন একাই নিজ বাড়ীতে অবস্থান করতেন। আত্বীয়তার সুবাদে প্রতিবেশী আঃ মজিদ এর পুত্র রোকন উদ্দিন রুকু(৩৫)মাঝে মধ্যেই আছিয়া খাতুনের বাড়ীতে আসতো।
ইতিমধ্যেই আছিয়া খাতুন এর প্রতি কু-নজর পড়েযায় ঐ লম্পট নারীলোভী রোকন উদ্দিন রুকু’র। উল্লেখ যে,রুকু’র ২কন্যা ২পুত্র থাকাবস্থায় সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ইং সোমবার রাত দেড়টার দিকে রোকন উদ্দিন রুকু আছিয়া খাতুনের বাড়ীতে এসে ডাকা ডাকি করিয়া বলে যে, তার আড়াই বছরের ছোট ছেলে অসুস্থ খেচনী) এখনি আছিয়াকে তার বাড়ীতে যেতে অনুরোধ করে,আছিয়া খাতুন সরল মনেপ্রানে রুকুর ঘরে প্রবেশ করা মাত্রই দরজা আটকিয়ে দাড়ালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোড়পূর্বক বিছানায় শুয়াইয়া আছিয়াকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে রুকু।
এ ব্যাপারে গ্রামীনভাবে মিট মিমাংসার চেষ্ঠা করেন অনেকেই। মিমাংসা না হওয়ায় ভূক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলে বিগত ১ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ অভিযোগটি আমলে নেন পুলিশ।
বাদী আছিয়া খাতুন সংবাদকর্মীদের সাথে অভিযোগ করে বলেন বিবাদী রুকু এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিকতা বা স্বদিচ্ছা থাকলে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন মামলা তুলেনেওয়ার জন্য তারকাছে খবর পাঠায়,সে বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। তিনি আসামী গ্রেফতারের জন্য জোর দাবী জানান।
পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আঃ হান্নান বলেন আসামী গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তবে সেইক্ষেত্রে বাদী পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন