নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আটক ২
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেন নি।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনি।
আটককৃতরা হচ্ছেন- বসুরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নূর নবী চৌধুরীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম শিমুল ও ৮নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমানের ফারুক ইসলাম লাভলু।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ‘ফেসবুক আইডি’ থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।
তবে নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে দাবি করে স্থানীয় সাংবাদিকদের মির্জা বলেন, একটি কুচক্রিমহল আইডি হ্যাক করে এ কাজ করেছে।
এর জের ধরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক মির্জা বিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন তারা উপজেলা গেটে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়। এসময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা স্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস ও কার্যালয় ভাঙচুর করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন