নড়াইলে বাসের ভেতর অজ্ঞান করে লাখ টাকা লুট
নড়াইলে বাসের ভেতরে চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে বিলু খাঁন (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে অজ্ঞান করে ৯৭ হাজার ২০০ টাকা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১১ জুন) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিলু খাঁন সদর উপজেলার শিংগা শৈলপুর ইউনিয়নের নলদীরচর গ্রামের মৃত নিয়ামত খাঁনের ছেলে।
বিলু খাঁনের ভাই জামশেদ খান বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে আমার মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে জানানো হয়, ভাই অচেতন অবস্থায় গড়ের ঘাট এলাকায় রয়েছেন। আমি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ভাইকে ফোন দেয়া হয়। কিন্তু তার কথা কেমন যেন লাগছিল। তখন ওই এলাকার পরিচিত লোকদের পাঠালে তারা জানান, ভাই শুধু ইশারা দিয়ে কথা বলছেন। তার কথা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না। এরপর আমরা দ্রুত যেয়ে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’
আহতের ভাই নিলু খাঁন বলেন, ‘ভাই ৯৭ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে মাইজপাড়া হাট থেকে গরু কেনার জন্য বাড়ি থেকে দুপুর ১টার দিকে রওনা হয়ে নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনাল থেকে লোকাল বাসে চড়েন। বাসের ভেতরে তাকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে গরু ক্রয়ের টাকা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
তিনি আরো বলেন, ‘এ চক্রের সঙ্গে বাসের ড্রাইভার সুপার ভাইজার ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে। তা নাহলে ভাইয়ের নামার কথা ছিল মাইজপাড়া গরুর হাটে। অথচ তাকে নামিয়েছে আরো অনেক দূরে।’
আহতকে মাইজপাড়ায় না নামিয়ে দূরে নামানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সেই বাসের ড্রাইভার মাহাবুর বলেন, ‘আমাকে সুপারভাইজার রেজোয়ান ও হেলপার বলেছিল ওই ব্যক্তি বাসে ঘুমাচ্ছে তাই এখানেই তাকে নামিয়ে দিতে।’
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পরে হয়তো জ্ঞান ফিরে পাবেন তিনি। তা নাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় পাঠাতে হবে।’
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, ‘বিষয়টা আপনার কাছ থেকে শুনলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন