নড়াইলে শিশিরে ভেজা ঘাস আর কুয়াশায় জানিয়ে দিচ্ছে ‘আসছে শীত’
নড়াইলে শিশিরে ভেজা ঘাস আর কুয়াশায় জানিয়ে দিচ্ছে ‘আসছে শীত’।
রাতের আঁধার কেটে ভোরের আলোর মাধ্যমে প্রকৃতি পেয়েছে একটি নতুন দিন। পাখিদের কিচির মিচিরের মধ্য দিয়ে আকাশ আলো করে জেগে উঠেছে সূর্য। কৃষকের ফসলি জমি ছেয়ে গেছে সবুজের সমারোহে। ফসলি জমির সবুজ ঘাস, গাছ-পালার ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সকালের প্রকৃতিতে এক অপরূপ সৌন্দর্য।
এই শিশিরসিক্ত সবুজ ঘাস ও লতা-পাতা যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠে মাঠে শিশিরে ভেজা ঘাস আর কুয়াশা ঢাকা পথে উত্তরে হাওয়া জানান দিচ্ছে আসছে শীত। প্রকৃতির পালাবদলে হেমন্তের সাথে সাথেই আসছে শীতের আগমন। কার্তিক মাসের বৃষ্টির পর প্রকৃতিতে লেগেছে শীতের হাওয়া। সন্ধার পর থেকে অনুভূত হচ্ছে শীত শীত ভাব। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়তেই গ্রামাঞ্চলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া।
দিনে চলছে কোথাও রোদ আবার কোথাও মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। শেষ রাতে শীতে গা শির শির করে উঠছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিকে। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশির কণা। গাছে গাছে এখনো ফুটছে বকুল, শিউলিসহ নানা ফুল। মাঠে মাঠে বেড়ে উঠছে সবুজ ধান। দৃশ্যমান হচ্ছে ঘন কুয়াশা। যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তারা দেখতে পাচ্ছেন কুয়াশার বুকচিরে ভোরের সূর্যোদয়। বিকেলের নীল আকাশের ক্যানভাসে খেলা করছে থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। মিষ্টি রোদের খেলা চলছে সকালটায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত নামার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে চারপাশটা।
দিনে গরম, রাতে হিমালয়ের কুয়াশার শীতল হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশার হাতছানি বলে দিচ্ছে শীত বেশি দূরে নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলোর দেখা মিললেও দিন দিন তাপমাত্রা কমছে। এতদিন যারা হালকা বা পাতলা কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হতেন তারা এখন শীতের ভারী কাপড় পরতে শুরু করেছেন।
সকালে ঘাসের ডগায় আর বৃক্ষরাজির পাতায পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তাই তো এখন প্রকৃতিতে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের পরশ। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, নগরায়ণের চাপে শহুরে জীবনে তার রূপ-রস-গন্ধ সেভাবে ইন্দ্রিয়ে ধরা না দিলেও গ্রামে গেলেই ময়ূরের পেখমের মতো হেমন্ত মেলে ধরবে তার ঐশ্বর্যের ডালি। হেমন্তকেই বলা হয় শীতের পূর্বাভাস, হিম থেকে হেমন্ত। কার্তিকের রাতে ঝরতে থাকে হিম হিম কুয়াশা, বাতাসে শীতের স্পর্শ। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে ভোরে ওঠে কোমল রোদের কিরণ ছটা। হেমন্তে দিনগুলো ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে। দ্রুত তলিয়ে যাওয়ার তাড়ায় ভোগে সূর্য। বিকেলের আলো দেখতে দেখতেই মিলিয়ে যায় দিগন্তে। ‘শিশিরের শব্দের মতো’ সন্ধ্যা নামে।
অগ্রহায়ণ জেঁকে বসছে আপন স্বকীয়তায়। অপরূপ এই হেমন্তের সকালে রোদ এসে পড়ছে গাছের সবুজ পাতায় পাতায়, শিশির বিন্দু ঝিকমিকিয়ে উঠছে। গ্রাম বাংলার নদ-নদী অববাহিকায় ও গ্রামীণ জনপদে রাত থেকে সকাল অবধি হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী। শুরু হয়েছে শীতের আবহ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা অগ্রহায়ণের এ সকাল জানান দিচ্ছে শীতের শিশির ভেজা হিমেল বার্তা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন