শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুকরণীয় হওয়ার আহ্বান যবিপ্রবি উপাচার্যের

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হতে হবে অনুকরণীয়। আপনি যদি নিয়ম-নীতি মেনে বা কর্মের মাধ্যমে অনুকরণীয় না হতে পারেন, তাহলে আপনার অর্জিত শিক্ষা কোনো কাজে আসবে না।

শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা: প্রেক্ষিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, শুদ্ধাচার বলতে যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে শুদ্ধভাবে সঠিক আচরণ। রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যেভাবে আপনাকে কর্মসম্পাদন করতে বলেছে, সেইভাবে নিজেকে পরিচালনা করা। আপনার কর্ম ও আচার-আচরণের মাধ্যমে নিজেকে অনুকরণীয় হিসেবে গড়ে তোলা।

শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে করে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। নিজের চরিত্র এমনভাবে গঠন করতে হবে যেন, আপনার অধীনস্তদের কাছে আপনি অনুকরণীয় হতে পারেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় না হতেন, তাহলে ৫২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ৭১ আসতো না। বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। তাই আমাদের ভালো শিক্ষক, ভালো কর্মকর্তা সর্বোপরি ভালো মানুষ হওয়ার চিন্তা করতে হবে। নিজেকে বদলাতে হবে। শুদ্ধ আচরণ করতে হবে।

যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন গ্রহণ করেছেন, তা যেন সফল হয় এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নিজেদের সংশোধন করে ভালো আচরণ করতে হবে।

কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস, মেধা ও মনন চর্চার মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এটা চর্চার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যেতে পারবে।

যবিপ্রবি এপিএ টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. নাসিম রেজা, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (বাজেট) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অডিট) রবিউল ইসলাম, যবিপ্রবির এপিএর ফোকাল পারসন মোঃ মাহ্মুদুন্নবী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ, বিভাগ ও দপ্তরের নির্বাচিত ফোকাল পারসনগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যবিপ্রবির সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. মেহেদী হাসান।