পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক তরিকুলকে হেনস্তা
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতির নিউজ প্রকাশ করার দায়ে সাংবাদিক তরিকুল ইসলামকে হেনস্তা করা হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল ২০২২) বিকালে জমাজমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে না করতেই এই ঘটনাটি ঘটান তথাকথিত স্টাফ দাবিদার মোফাজ্জল হোসেন।
জানা যায়, জনগণের স্বার্থে কয়েকটি দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদপত্রে প্রমাণ্য ভিডিওসহ গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি “অনিয়ম-দুর্নীতির ভাগাড়ে সেটেলমেন্ট অফিস” ও “স্যার বলছে খরচাটা লাগবে” দুটি শিরোনাম প্রকাশিত হলে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ক্ষিপ্ত হয়। তারই শত্রæতার জের ধরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় এই ঘটনার উদ্ভব ঘটান মোফাজ্জল। আরোও জানা যায়, ওই অফিসে যাদের নামেই নিউজটি হয়েছিল তাঁরা সকলে কীভাবে তার জীবন ক্ষতি সাধন করা যায়, তৎকারণে নানা রকম কু-মতলব ও ফন্দি-ফিকির করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই মোফাজ্জল দীর্ঘদিন যাবৎ দালাল হিসেবে কাজ করে আসছিলেন কয়েকমাস হল অফিস তাকে নামদাবিদার একটি পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে দিয়ে অনিয়মের গডফাদার বানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরও দালালের সিন্ডিকেট বানিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আদায়ের মহোৎসব মেলা বসিয়েছেন।
সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি বিকালে কয়েকজন লোকের জমাজমি সংক্রান্ত সমস্যার সহযোগিতা করার জন্য সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট দেখা করতে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা ওঁৎ পেতে থাকা মোফাজ্জল সেই সুযোগের সন্ধানে তার পরনে থাকা জুব্বা ধরে টানা হেঁচড়া ও মারার উদ্দেশ্যে ধস্তা ধস্তি করতে থাকে। তারপর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মফিজুর রহমান, পেশকার আবুল কালাম আজাদসহ আরোও কয়েকজনের উপস্থিতিতে তার পার্সোনাল কক্ষে নিয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। এবং তাকে প্রাণ নাশের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। তিনি আরও বলেন, তাকে ফাঁসানোর জন্যে তাদের অপরাধ মূলক কাজ ও কথা কেটে কেটে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর ভিডিও ধারণ করেন। পরে তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ও ব্যাগ চিনিয়ে নেয় এবং মোটরসাইকেলের চাবি কাঁড়িয়ে নেওয়া হয়। সে কোন রকম লোকজনকে নিয়ে জানে বেরিয়ে আসেন।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক তিনি এ বিষয়ে অবগত রইলেন এবং বিষয়টি দেখবেন জানিয়েছেন।
আপনার অফিসের মোফাজ্জল কেন এমনটি করলেন, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসায় তিনি সাংবাদিক তরিকুলকে বলেন- তার পাতলা পায়খানা ধরছে, তিনি এখন রেস্টে আছেন।
এ ব্যাপারে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার শামসুল আজমকে অবগত করা হয়েছে।
বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়াকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন