পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজন নিহত চেয়ারম্যান সহ গ্রেপ্তার ৫ জন
পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সদর থানা পুলিশ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামীগণ বাড়ি-ঘর রেখে পলাতক রয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা নিহতের ঘটনা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে প গড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি প্রধান পাড়া এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম সানোয়ার জাহান শামীম (২৭) পিতা সামিউল হক।
তবে এ ঘটনার পর প গড় সদর আমলি আদালত-১এ ২৫ জনকে আসামি করে প্রাথমিক ভাবে একটি মামলা দায়ের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার।
মামলা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরন মতে জানা যায়, সদর উপজেলার বড়বাড়ি প্রধানপাড়া এলাকার সামিউল হক গং গত শনিবার সকালে আমন ধানের রোপা লাগাতে থাকে। এসময় একই এলাকার আবুল হোসেন (৭০) (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) তার ছেলে খাজা ময়ন উদ্দীন সম্রাট (৩৬) ও খাজা নাজিম উদ্দীন রাজা (২৬) আব্দুর রশিদ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন গংরা দা, কুড়াল, লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে তাদের উপড় আক্রমন করে।
আসামিগন তাদের হাতে থাকা বসিলার এক পাশ দিয়ে স্বজোড়ে আঘাত করে। এসময় সানোয়ার জাহান শামীম ও তার বাবার মাথা গুরুত্বর জঘম হয়। সাথে সাথে তাদের সকলকে পঞ্চগড় ও পরে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। তবে সানোয়ার জাহান শামীমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দ্রুত তাকে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে শনিবার দিবাগত ভোর রাতে সানোয়ার জাহান শামীম মারা যান।
এ ঘটনায় রোববার ভোরে পঞ্চগড় থানা পুলিশ আসামিদের মধ্যে প্রধান আসামি আবুল হোসেন (৭০) তার ছেলে খাজা নাজিম উদ্দীন রাজা (২৬) , আজিজার রহমান (৫৫) বাবু (২৩) ও তানজিদ(২১) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় মৃত সানোয়ার জাহান শামীমের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে আনলে বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। প্রতিবেশি ও আতœীয় স্বজনদের ভীরে সেখানকার পরিবেশ আরো ভারি হয়ে ওঠে। এ সময় সরেজমিনে গেলে নিহতের বাবা-মা ও চাচা শাহজাহান ,সফিকুল সহ তার আত্বীয় স্বজনরা এই হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা আরো বলেন‘ নানা ফন্দি ফিকির করে এই জমি আসামিরা দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন আদালতে দাখিলকৃত মামলাটি রেকর্ড করা হয়। তিনি আরো বলেন বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে জোড় চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন