পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নারী খাদ্য পরিদর্শকের অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে থানায় ডায়েরী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাদ্য অধিদপ্তরের নারী খাদ্য পরিদর্শক আরিফা সুলতানা’র বিরুদ্ধে একজন ডিলারের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে কলাপাড়া থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কলাপাড়া থানায় এ সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন মোসাঃ মাসুমা আক্তার কলি।
সাধারন ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, খাদ্য পরিদর্শক আরিফা সুলতানা মাসুমা আক্তার’র স্বামী ওএমএস ডিলার মামুন হাওলাদার’র সাথে দীর্ঘ ১ বছর ৬ মাস পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। মাসুমা তার দু’টি শিশু সন্তান নিয়ে আরিফার কাছে তার ১১ বছরের সংসার রক্ষায় অনুনয় বিনয় করায় তাকে সহ সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকী দেয়া হয়েছে। এছাড়া খাদ্য পরিদর্শক আরিফা সুলতানা তার পূর্ববর্তী কর্মস্থলে কারো না কারো সংসার ভেঙ্গেছে বলে সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্য পরিদর্শক আরিফা সুলতানা জানান, ব্যবসায়ী মামুন হাওলাদার এর সাথে আমার সম্পর্ক নৈতিক। আমরা পরস্পর বৈধ স্বামী, স্ত্রী। আমাদের বিয়ের রেজিষ্ট্রী কাবিন আছে। ব্যবসায়ী মামুন হাওলাদার জানান, আমার প্রথম স্ত্রী জানেন যে আরিফা সুলতানা আমার বৈধ স্ত্রী। তিন চার মাস আগে আরিফার সাথে আমার বিবাহ হয়েছে । তার পরেও সামজিক ভাবে আমাকে হেও করতে বিভিন্ন যায়গায় অভিযোগ দিচ্ছেন তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি খন্কার মোস্তাফিজুর রহমান ডায়েরীর সত্যতা স্বীকার করে জানান, খাদ্য পরিদর্শক আরিফা সুলতানা’র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ সংক্রান্ত জিডি’র কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে খাদ্য অধিদপ্তর সহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী মাসুমা আক্তার আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন,সাধারন ডায়েরীর কপি পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, পটুয়াখালীকে প্রেরন করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো.লিয়াকত আলী বলেন, এ বিষয়টি আমি এখনও অবগত নই। বিষয়টি লিখিত ভাবে জানার পর উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন