পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্র তীরে তিনদিন ধরে নিখোজঁ পর্যটকের অপেক্ষায় স্বজনেরা

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোজঁ হওয়া পর্যটক ফিরোজ শিকদারের তিন দিনেও সন্ধ্যান মেলেনি। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তিনি বন্ধুদের নিয়ে সৈকতে সাঁতার কাটতে গেলে নিখোজঁ হন। এর পরে কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ,অগ্নিনির্বাপক দল ও ডুবুরিরা কয়েকদফা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার হদিস পাননি।

এদিকে নিখোজেঁরে সংবাদ পেয়ে ওইদিন বিকেল থেকেই ফিরোজ শিকদারের স্বজনসহ এলাকাবাসী এসে ভীড় জমিয়েছেন সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায়। তারা বলছেন জীবীত না হোক অন্তত মৃতদেহ নিয়ে যেন স্ত্রী সন্তানের কাছে ফিরতে পারি। নিখোজেঁর চাচাতো ভাই পারভেজ শিকদার জানান, তার ভাইকে শেষ বারের মত এক নজর দেখার জন্য প্রায় ২ শতাধিক মানুষ কুয়াকাটায় এসে অপেক্ষো করছে। এবং প্রতিদিনই এর সংখ্যা বাড়ছে। এরা সবাই পাশ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপার বাসীন্দা। নিখোজঁ ব্যক্তির চাচা সেলিম শিকদার বলেন, পিতা,মাতা হারা সন্তানের তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ফিরোজ। ওর শোকে এখন সবাই কাতর। এছাড়া বাড়িতে এক বছর বয়সী কন্যা ফারিহাকে নিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছে ফিরোজের স্ত্রী সীমা বেগম। তিনি বলেন,অপেক্ষায় থাকা প্রতিটি মানুষ সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। এই বুঝি ফিরোজের দেখা মিলবে। ফিরোজের সন্ধ্যানে আসা নিজাম জানান, গলাচিপার আমখোলা বাজারে নিখোজঁ ব্যক্তির ভাই ভাই গার্মেন্টস নামে একটি পোশাকের দোকান রয়েছে। ওর পরিচিত যত মানুষ আছে বিনয়ী ফিরোজকে এক নজর দেখতে তারা সবাই কুয়াকাটা সাগর পাড়ে এসেছে। এদিকে সাগর পাড়ে বসবাসরত অনেক মানুষ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছেন, ৩ দিন যাবৎ নিখোজঁ ব্যক্তির লাশ সমুদ্রে ডুবে থাকতে তারা কখনো দেখেননি। তবে নিখোজেঁর পিছনে নিহিত কোন কারণ রয়েছে কিনা এ নিয়ে সন্দিহান তারা।

কলাপাড়া ফায়র সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার আতাউর রহমান জানান,তিনদিন ডুবুরিদলসহ অভিযান চালিয়ে কোন সন্ধ্যান না পেয়ে অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনা ঠিক বুজতে পারছি না।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের ইনচার্জ(এএসপি) আবদুল খালেক জানান, তিনদিন যাবৎ কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। নিখোজের স্বজনেরা ঘাটে অপেক্ষা করছে। এখনো আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।