পটুয়াখালীর সমুদ্রে ফেরার অপেক্ষায় ঘাটে মুখিয়ে আছেন জেলেরা

সামুদ্রিক মাছের বাঁধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষনের লক্ষে সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ মধ্য রাত থেকে সাগরে ফিরবেন মৎস্য শিকারিরা। তাই মাছ শিকারের অপেক্ষায় সমুদ্রে ফিরতে শেষ সময়ে ঘাটে মুখিয়ে আছেন জেলেরা।

ইতোমধ্যে ট্রলার মেরামতসহ নতুন সুতার বুুনোন দিয়ে জাল সেলাই এবং সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন মৎস্য আহরণকারীরা। অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে রাত বারোটার পর থেকেই ইলিশ শিকারে গভীর সাগরে যাত্রা করবে পটুয়াখালীর উপক‚লীয় প্রায় ৪ হাজার মাছ ধরা ট্রলার। জেলেরা বলছেন, দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার ফলে সাগরে কাংঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলবে এমন প্রত্যাশা তাদের।

সরেজমিনে শনিবার সকালে দক্ষিণের বৃহৎ মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর ঘাটে দেখা যায়, জাল সাবার গুছিয়ে সমুদ্রে ফেরার অপেক্ষায় শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রলারের মাঝি মাল্লারা। অনেকেই সমুদ্র যাত্রার বাজার করে ঘাটে নোঙর করা ট্রলারের কাছে নিয়ে জেলেদের সহযোগীতায় তুলে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মাছ শিকারে প্রয়োজনীয় জাল,ভাসা প্রভৃতি সরঞ্জাম সাজিয়ে গুছিয়ে রাখছেন ট্রলারে। মহিপুর ঘাটের আল্লাহর ভরসা নামের ট্রলারের মাঝি সাঈদুল ইসলাম জানান, তার ট্রলারে সকল প্রস্তুতি শেষ করে যাত্রা পথের ডিজেল,বাজার এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু অন্তত ৭ দিনের জন্য নিয়ে নিয়েছেন। কাংঙ্খিত ইলিশ পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর তিনি। অপর দিকে একই ঘাটের এফবি ফয়সাল নামের ট্রলারের মাঝি ফারুখ হোসেন জানান, তার ট্রলার মেরামতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আগবাড়িয়েই। যাতে করে সমুদ্রে ফিরে কোন ধরনের বেগ পেতে না হয়।

তবে আল্লাহ দিলে সাগরে বড় ইলিশ পাওয়ার আশা করেছেন এই মাঝি। আলীপুর মৎস্যবন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সরকার ঘোষিত সব ধরণের অবরোধ জেলেরা মান্য করেছেন। এর সুফল হিসেবে আসা রাখি সাগরে ইলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে। এছাড়া মাছ শিকারের মাধ্যমে জেলে এবং ট্রলার মালিকরা ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবে। উপজেলা সিনিয়ন মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, অবরোধকালীন সময়ে জেলেরা যে সহনশীল আচরণ করেছে এর সুফল হিসেবে তাদের জালে বড় সাইজের ইলিশসহ সব ধরণের মার ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।