পাকিস্তানে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা

আশঙ্কাজনক হারে পাকিস্তানে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে দেশটিতে এইডস রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার। এই সংখ্যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৩৯ হাজার বেশি। জরিপের বিস্তারিত ফলাফল আগামী সপ্তাহে সরকারিভাবে প্রকাশ করা হবে। খবর পাকিস্তান এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

এইডস নিয়ে জরিপকারী সংস্থা গত এক বছর পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। ৬০ দলে বিভক্ত হয়ে তারা পাকিস্তানের কুড়িটি শহরে যান। ৫ হাজার এলাকা থেকে তারা তথ্য নেন। নতুন জরিপে দেখা যায় পাকিস্তানে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা। ২০১৭ সালে ৩৯ হাজার নতুন এইডস রোগীর সন্ধান পান তারা।

সবচেয়ে বেশি এইডস রোগী পাওয়া গেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। সেখানে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার। তারপরই অবস্থান করছে সিন্ধু। সেখানে ৫২ হাজার। খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১১ হাজার। সবচেয়ে কম বেলুচিস্তানে। সেখানে মাত্র ৩ জন এইডস রোগী। রাজধানী ইসলামাবাদে ৬ হাজার এইডস রোগীর নিবন্ধিত আছেন।

কীভাবে এসব লোক এইডসে আক্রান্ত হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ লোক শিরায় সুচের মাধ্যমে মাদক নিতে গিয়ে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মরণব্যাধি এইডস এইচআইভি নামক ভাইরাসের আক্রমণে হয়। এই ভাইরাস রক্তের শ্বেতকনিকা ধ্বংস করার মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। ফলে রোগী সামান্য জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। রক্তের সংস্পর্শে আসা সুপ পরিষ্কার থাকতে হবে। একজনের সুচ দিয়ে অন্যজনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দেহে রক্ত দেয়া নেয়ার ক্ষেত্রে রক্তের বিশুদ্ধতা যাচাই করতে হবে। শারীরিক মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে। বহুগামিতা বন্ধ করতে হবে।