মাঝ আকাশে এয়ার ফ্রান্সের ইঞ্জিন বিকল

দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেচে গেল এয়ার ফ্রান্সের এক বিমান। শনিবার মাঝ আকাশে বিমানের চারটি ইঞ্জিনের একটি বিকল হয়ে পড়ে। কিন্তু পাইলটের দক্ষতা ও ভাগ্য সহায়তা করায় প্রাণে বেচে যান বিমানের ২৪ জন ক্রু ও ৪৯৬ জন যাত্রী। খবর বিবিসির।

বিশাল আকারের এয়ারবাস এ৩৮০ ফ্লাইট এফ৬৬ ফ্রান্সের প্যারিস থেকে রওনা দিয়েছিল। গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস। মাঝ আকাশে বিমানের চারটির ইঞ্জিনের একটির ঢাকনা বিকট শব্দে ভেঙ্গে উড়ে যায়। বিমানটি তখন আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরে। এমন সময় বিমানের পাইলট ওই ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। পরে পাইলট বাকি তিন ইঞ্জিন নিয়ে কয়েক ঘণ্টা আকাশের উড়ার পর পূর্ব কানাডার ল্যব্রাডরের গুজ বে বিমান বন্দরে জরুরি অবতরণ করান।

যাত্রীদের মধ্যে একজন বিমান প্রকৌশলী ছিলেন। তার নাম ডেভিড রেমার। বিবিসিকে তিনি বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দের পর বিমানটি ঝাঁকুনি দিতে থাকে। তারপর যাত্রীরা বিমানের ডানার দিকে তাকালে দেখেন ইঞ্জিনের একটি অংশ উড়ে গেছে।

তিনি মনে করেছিলেন, বিমানটি হয়ত যেকোনো মুহূর্তে মাটিতে ভেঙ্গে পড়বে। কারণ পাখার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাত্রীরা এসব দেখে আতঙ্কিত ছিল। কিন্তু কোনো ক্রমে রক্ষা। পাইলট দ্রুত বিমানের ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন। তারপরও বিপদ কাটেনি। কয়েক ঘণ্টা ওই ভাঙ্গা ইঞ্জিন নিয়ে বিমানটি আকাশে উড়ে। ইঞ্জিনের ভেতরের পাখার গোলযোগ থেকে এ ঘটনা সূত্রপাত বলে তিনি মনে করেন। তবে এর জন্য পাখি দায়ী নয়। কারণ এত উঁচুতে পাখি আসতে পারে না বলে তিনি জানান।

বিমানের ইঞ্জিন কেন এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তা তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যায়নি। যাত্রী সকলকে নিতে কানাডার মন্ট্রিয়ল থেকে উড়ে আসে আরেকটি বিমান। ওই বিমানে করে যাত্রীদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়।