পার্থর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি ফারুকের
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত চিত্রনায়ক ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তিনি লড়ছেন ঢাকা-১৭ আসনে। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি ফারুকের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপীর অভিযোগ এনে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আদালতে রিট করেছেন। এই ঘটনায় বিস্মিত ফারুক।
কিন্তু তিনিও দমবার পাত্র নন। বুধবার সকালে নায়ক বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তা দেখে উনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে এই সমস্ত কর্মকাণ্ড করছেন। আমার লোক আদালতে গেছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ায়ই সমস্ত কিছুর জবাব দিতে চাই।’
কোনো ব্যাংক একটি টাকাও পাবে না উল্লেখ করে ফারুক বলেন, ‘আমার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা থাকলে পার্থ এই অভিযোগ আনতেন না। তিনি এমন একজন নেত্রী যে সারা জীবন ক্লিন ইমেজের রাজনীতি করে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগে প্রার্থীর অভাব নেই যে শেখ হাসিনা একজন ঋণখেলাপীকে মনোনয়ন দেবেন। সব কিছু যাচাই বাছাই করেই তিনি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার কাছে কেউ একটা পয়সাও যদি পেত তাহলে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিতেন না।’
বিএনপি প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থর বিরুদ্ধে মানহানি ও মিথ্যেবাদিতার মামলা করবেন জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘নালিশি রাজনীতিতে আমি কখনও আস্থা রাখিনি আমি। তিনি ভোটের মাঠে আমার সঙ্গে জিততে পারবেন না জেনেই এরকম বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। উনি যেই দেখেছেন শুধু চলচ্চিত্রের মানুষই নয় এই আসনের সমস্ত জনগণ আমার প্রচারণায় নেমেছে, তখনই এসব শুরু করে দিয়েছেন। উনি তো (পার্থ) আমার ছেলের বয়সী। তাই পরামর্শ দেই, বক্তৃতাবাজি করে নেতা হওয়া যায় না, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখতে হয়।’
ঋণখেলাপি হওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন পার্থের আইনজীবী সাজেদ শামীম।
রিট আবেদনে ফারুকের মনোনয়ন স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারির নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন