পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ভুয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসার শিকার রোগীরা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডাক্তারি কোন সনদ ছাড়াই অপচিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে দিপু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাকে একাধিকবার সতর্ক করলেও অজ্ঞাত কারনে কর্ণপাত করেনি সে।
হাবিবুল ইসলাম দিপু নামে কথিত এই চিকিৎসকের বাড়ি বরিশালের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায়।তার পিতার নাম মৃত মমিন আলী। ১০ বছর আগে অজ্ঞাত কারনে মঠবাড়িয়ায় এসে স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে চিকিৎসা পেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মঠবাড়িয়ায় এসে মঠবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালের দুই একজন ডাক্তারের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন হাবিবুল ইসলাম দিপু। বিশেষ করে যেসব চিকিৎসকরা অপারেশন করেন তাদের সহকর্মী হয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর নিজেই ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মঠবাড়িয়া হাসপাতালের পাশে থাকা ড্রিম নামে একটি ক্লিনিক এবং সাফা এলাকায় রাজ্জাক ক্লিনিক সহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন করেন তিনি।
সরেজমিনে এসে হাসপাতালের সামনে একটি চেম্বারে রোগী দেখতে দেখা যায় তাকে।১৪ বছর বয়সী এক রোগীর হাতে অপারেশন করা হয়েছে। তবে ওই চেম্বারের সামনে কোন সাইনবোর্ড নেই।ব্যবস্থাপত্রেও নেই নাম ও যোগ্যতা।সাদা কাগজে লিখে দেন ওষুধের নাম। সর্বশেষ সাফা আঃ রাজ্জাক ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগের পর অনেকটা সতর্ক হয়ে এ কৌশল নেন তিনি।নিয়মিত রোগী দেখলেও নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন দিপু।তার দু’টি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।এছাড়াও তিনি জানান,আমি কখনো নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেই না।কাজেই আমাকে ভুয়া ডাক্তার বলার কোন সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান,শুধু দিপু নয় মঠবাড়িয়ায় আরও ভুযা চিকিৎসক রয়েছে। এসব ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন