কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, যত দিন যাচ্ছে এ জনপদে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। সন্ধার পর থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এখানকার পথঘাট। উত্তরের হিমেল হাওয়ার সাথে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় সাধারন মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের সুয়েটার, জেকেটসহ মোটা কাপড় পড়ে স্কুল কলেজে যেতে যেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। গোটা জন-জীবনকে করেছে বিপর্যস্ত।নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভুত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে এগারটায় কথা হয় অটো চালক তাহেরের সাথে তিনি জানান, সকাল আটটায় রিক্সা নিয়ে বেড়িয়েছি। প্রায় তিন ঘন্টায় আয় করেছি সত্তর টাকা। শীতের কারণে বাইরে লোকজন কম।

উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের বাহার আলী (৬০) বলেন, কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়ছে রাস্তা দেখায় যায় না। এরকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর সমস্যা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, শীতবস্ত্র হিসেবে উপজেলায় ৪ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু নির্বাচনের সিডিউল হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় তা বিতরণ করা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।