‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন, গৌরীপুরের চা দোকানী হারুন
অদম্য এক তরুণ হারুন মিয়া (২৫)। চা বিক্রির টাকায় পাঠাগার গড়ে নিজ এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এবার এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি।
প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর উদ্যোগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হারুন মিয়াকে ‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার পুরস্কার’ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যভিনেতা আবুল হায়াত অতিথি থেকে হারুনের হাতে পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। পাঠাগার গড়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর স্বীকৃতি স্বরূপ হারুন ছাড়াও দেশের আরো তিন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেয়া হয় প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে।
এছাড়াও প্রকাশনা সংস্থার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়া চারজনের প্রত্যেককে দুইশত বই উপহার দেয়া হয় ।
পুরস্কার পাওয়া হারুন মিয়া বলেন, বই পড়ার নেশা থেকেই স্থানীয় বইমেলা, লাইব্রেরী, ফুটপাত ও অনলাইন থেকে বই কিনতাম। পড়া শেষ হয়ে গেলে বইগুলো দোকানেই পড়ে থাকতো। বইগুলো কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই গত বছর ছোট্ট পরিসরে দোকানেই পাঠাগার গড়ে তুলি।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি অবশ্যই কাজের গতি বৃদ্ধি করে। এখন আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। সবসময় চেষ্টা করবো এই স্বীকৃতির প্রতিদান দিতে।
উল্লেখ্য, হারুনের বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের সতীষা গ্রামে। অভাবের তাড়নায় হারুন স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে ২০১২ সালে পৌর শহরের অন্য একজনের দোকানের বারান্দায় চা দোকান দিয়ে বসেন । চা দোকানের আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ যোগানের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চা বিক্রির বাড়তি টাকা দিয়েই ২০২৩ সালে তিনি পাঠাগার গড়ে তুলেন। হারুন দিনে চা বিক্রি ও রাতে পড়াশোনা করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে হারুনের আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন