ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা এদেশকে গণকবরে পরিনত করেছে : রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করা ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেন গণকবরে পরিনত করেছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডক্টর ইউনূস নেত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এই সরকারের আমলে মহামারীতে একজন লোকও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।

প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। পুলিশের মাঠ পর্যায়ের রদবদল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া আট’শ তিনজন পুলিশের উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ-ই নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২’শ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে,যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে।এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আরো অনেক ঘটনা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা এখন বলতে চাচ্ছি না।

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান সফলে ছাত্রজনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন,আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল,‘স্যার একজন মরে, আরো দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্রজনতার রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুুলিশের ২’শ এস আই কিভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা ছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক তার বক্তব্যে বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার গত ১৭ বছর জনগণের ভোটের অধিকারকে বঞ্চিত করে তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল।

তিনি বলেন,ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত জুলাই-আগষ্টে আমরা নতুন করে স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু আমরা পরিপূর্ণ গণতন্ত্র পাইনি। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র পেতে সুন্দর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে এদেশের মানুষের এটাই প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন ও হাজী মোস্তফা জামান এর সঞ্চালনায় লিফলেট বিতরণ পূর্ব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল হক, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন,রংপুর বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল,সাবেক যুবদলের নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

লিফলেট বিতরণকালে জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম স্বপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আখতার হোসেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য কাউন্সিলর আলী আকবর,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,আফাজ উদ্দিন,আহসান হাবিব মোল্লা,এবিএমএ রাজ্জাক,মাহাবুব আলম মন্টু,ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল মেরাজ,স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী,উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম,তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ খোকা, হাজী জহিরুল ইসলাম,মহিউদ্দিন সোহাগ রাজা,রিপন হাসান খন্দকার,মোঃ চান মিয়া,দক্ষিণখান থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার,যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন জমিদার,উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন,যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান,খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক এসএম ফজলুল হক,যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন,বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক,যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী,বশির আহমেদ,পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজী নূর সালাম,সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়াসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।