বগুড়ায় যমুনার ভাঙন আতঙ্কে ইছামারা গ্রাম ছাড়ছে ২০০ পরিবার


বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর প্রবল স্রোতে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামার গ্রামে নদী ভাঙন অব্যাহত আছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ইছামারা এলাকায় যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যেই ৮০টি বসতবাড়ির জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও মালামাল নদীতে ভেসে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে ইছামারা গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে আরও ২০০ পরিবার।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
সরেজমিনে ইছামারা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে নদী ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ চলছে। অপরদিকে নতুন করে আরও দুই শতাধিক পরিবারের লোকজন নদী ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। ইছামারা থেকে গোদাখালি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পরিত্যক্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুইপাশে বসবাস করা এসব পরিবারের লোকজন তাদের বসতঘর, মালামাল, গবাদিপশু নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং নদী ভাঙন আতঙ্কে লোকজন পাশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন। বেশ কিছু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্য উপজেলায় চলে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, শনিবার ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর থেকে অপরিবর্তিত থেকে যমুনার পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে পানি কমেছে। নদী ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ভাঙন কবলিত ইছামারা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন