বগুড়ার শিবগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে আবু বক্কর সিদ্দিকের আবেদন
বগুড়ার শিবগঞ্জে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়ায় জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক বৃদ্ধ।
সে উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের সৈয়দ দামগাড়া মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ জামান মিয়ায় ছেলে। সে ১৯৭০ইং সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করে। তার জন্ম ১৯৫২সালে। তার ১ছেলে ও ১মেয়ে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে বিদেশে থাকে। ২৪ শতক জমি আছে তার। এই জমি চাষ করে তার জীবিকা নির্বাহ করে অত্যন্ত কষ্টের মাধ্যমে।
আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মুক্তিযোদ্ধার সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিববুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ ভাষনে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। ভারতের ত্রিমোহনী কামারপাড়ায় যান এবং সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেন। অকুতভয় এই যোদ্ধা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাড়িতে চলে আসে। তার কাছে স্মৃতি হিসাবে রয়ে যায় বাংলা মুক্তিসেনা নামে পরিচয়পত্র।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। কারণ তাঁর পরিচয়পত্রটি বাড়িতে একটি পুরাতন বাক্সের ভিতরে বদ্ধ ছিলো।
তিনি আরও জানান, তার বয়স বৃদ্ধি হওয়ার কারণে এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ায় কোথায় তাঁর পরিচয়পত্র রয়েছে তা তিনি মনে রাখতে পারেননি। স্বাধীনতার ৫২ বছরে তিনি পুরাতন কাজগপত্র খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যান তাঁর হারিয়ে যাওয়া মুক্তিসেনা নামে পরিচয় পত্রটি। তিনি তার সহযোদ্ধাদের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকা ভুক্তির জন্য গত ২৭ নভেম্বর আবেদন করেন।
সাবেক উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বারী মন্ডল বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন এবং আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার দৈনিক জয়যুগান্তরকে বলেন, এ সংক্রান্ত একটি আবেদন পেয়েছি। আবেদনকারীকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন