বন্ধু দিবসে বন্ধুদের খালাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শুকরিয়া

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় কয়েকজন খালাস পাওয়ায় শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। হাইকোর্টের রায়ে অন্ততঃ চারজন খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জ.বি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তানবির আহমেদ সিদ্দিকী। সেখানে অন্য কয়েকজনও তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

রায়ের পর তানবির লিখেছেন: বন্ধু দিবসে বন্ধুকে ফেরত পেলাম। ভালো লাগছে। টিপু, কিবরিয়া, সাইফুল, মোস্তফা খালাস।

তবে, এ বিষয়ে ফেসবুকেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ন্যায়বিচার না পাওয়ায় দুঃখ ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন অনেকে। তাদের একজন ফাহিমা কানিজ লাভা।

লাভা তার ফেসবুক প্রোফাইলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রাজন তালুকদারের একটি পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়েছেন। যেখানে রাজন আবার তানবির সিদ্দিকীর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যে পোস্টে রায়ের আগের দিন সবার মুক্তির আশা করেছিলেন তানভীর।

লাভা লিখেছেন: এই যে দেখুন, ইনি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামী রাজন তালুকদার। জানা গেছে, সে ভারতের কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে ওইখানে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তো উনি গতকাল রায় দেওয়ার পর ‘নিষ্পাপ’। তার ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের বড় ভাই (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি) তানবির আহমেদ সিদ্দিকীর ‘বিশ্বজিৎ ক্ষমা করে দিতো এই মেধাবী তরুণদের’- এমন একটা আবেগী স্ট্যাটাস শেয়ার করে আমাদের কাঁদিয়ে ফেলেছেন।

ওই পোস্টে ‘আমি স্বপ্ন দেখি’ শিরোনামে তানবির লিখেছেন: আমি স্বপ্ন দেখি হতভাগা বিশ্বজিৎ আবার সেই শাঁখারি বাজারের মোড় থেকে দৌড়ে গিয়ে মহামান্য আদালতে উপস্থিত হয়ে বলবে, মহামান্য আদালত আমিও যেমন তরুণ ছিলাম ওরাও তরুণ ছিল, আমিও যেমন ভুল বুঝে দৌড় দিয়েছি ওরাও ভুল বুঝে ভুল করেছে। আমি ২১ টি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ ছেলের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের কথা ভেবে ওদের ক্ষমা করে দিলাম।

সেখানে তানবির বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার আসামীদের নাম ধরে ধরে লিখেন, তিনি আশা করেন কেউ আবার ফাইনাল পরীক্ষায় বসবে, কেউ আবার গিটার বাজিয়ে গান করবে, কাউকে তার মেয়ে বাবা ডাকবে, কেউ পুলিশ অফিসার হবে, কেউ মিছিলে নেতৃত্ব দেবে, কেউ পরিবারের হাল ধরবে, কেউ বড় সরকারি কর্মকর্তা হবে, কেউ ইংরেজিতে বক্তৃতা করবে।

তানবির দাবি করেন: ওদের কোনো দোষ নেই। ওরা পরিস্থিতির শিকার। এটা ছিল নিছক একটা দুর্ঘটনা। তিনি এও দাবি করেন, উচ্চ আদালতের রায় যদি তার প্রত্যাশামতো না হয় তাহলে জাতি হারাবে ২১ টি মেধাবি ছেলে।

একটি নতুন ভোরের প্রত্যাশা করে তিনি তার পোস্ট শেষ করেছিলেন যে পোস্ট নিয়ে এখন সমালোচনা সর্বত্র। অনেকে বলছেন, আদালতে নিজে সাক্ষ্য না দিয়ে মরে গিয়ে ভুল করে গেছেন বিশ্বজিৎ।